Student Tested corona positive: রিপোর্ট পজ়েটিভ আসার পরেও ক্লাসে পড়ুয়া, বাকিদের পরীক্ষা করতেই দেখা গেল…

Raygunj: বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ রয়েছে।

Student Tested corona positive: রিপোর্ট পজ়েটিভ আসার পরেও ক্লাসে পড়ুয়া, বাকিদের পরীক্ষা করতেই দেখা গেল...
বেসরকারি স্কুলের তিন ছাত্রী করোনা আক্রান্ত (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 12:39 PM

রায়গঞ্জ: একে ওমিক্রন আতঙ্ক। তার মধ্য়ে আবার রাজ্যজুড়ে রীতিমত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে করোনা আক্রান্ত তিন পড়ুয়া। যথারীতি আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।

ঘটনাস্থান রায়গঞ্জ। জানা গিয়েছে ওই প্রতিটি পড়ুয়া নবম শ্রেণীতে পড়ে। গতকাল এক ছাত্রীর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। এরপর ওই ক্লাসের এবং শিক্ষকদের টেস্ট করানো হলে আরও দুই পড়ুয়ার রিপোর্ট আজ পজ়িটিভ আসে। এরফলে মোট তিন জন আক্রান্ত ওই স্কুলে। ইতিমধ্য়ে স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজ় চলছে গোটা স্কুলে। বাকি পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

এক স্কুল আধিকারিক জানান, “গতকাল হঠাৎই খবর আসে সিএমএইচও অফিস থেকে। যে করোনা টেস্ট করেছিল এক পড়ুয়া তার রিপোর্ট পজ়েটিভ এসেছে। এরপরও সে স্কুলে চলে আসে। আমাদের কারোর বিষয়টি জানা ছিল না। আমাদের স্কুল যথারীতি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী খুলেছে। চলছেও। এবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে আমাদের জানানো হয় যে ওই পড়ুয়া ক্লাসে এসে ক্লাস করছে। সঙ্গে-সঙ্গে আমরা ক্লাস বন্ধ করে দিই। এরপর স্বাস্থ্য দফতর থেকে এসে ওই ক্লাসে থাকা সকলের করোনা টেস্ট করানো হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট আনুযায়ী আজ আরও দুজন পড়ুয়ার করোনা পজ়েটিভ রিপোর্ট আসে। এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। পরে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্কুল খোলা হয়। ওই পড়ুয়ার কোনও লক্ষণ ছিল না। শুধু শরীর খারাপ হওয়ায় সে টেস্ট করে। তারপরই মেয়েটির করোনা রিপোর্ট পজ়েটিভ আসে।”

প্রসঙ্গত, জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত শিবদাস আচার্য উচ্চ বিদ্যালয় থেকেও কয়েকদিন আগে একই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্কুলের দুই শিক্ষক করোনা সংক্রামিত হওয়ার পরও রীতিমত ক্লাস নিতে থাকেন তাঁরা। পরে আবশ্য তাদের বাড়ি ফেরত পাঠান হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবদীপ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন,শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল চলছে স্বাভাবিকভাবে। এরপর ওই দুই শিক্ষকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে স্কুলে বাড়তি সর্তকতা রাখা হয়। জানা গিয়েছে প্রতিদিন দু’বার করে স্কুলে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে আর সেই কাজে সাহায্য করছে দক্ষিণ বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যেখানে স্কুলের শিক্ষকরা খোদ করোনা সংক্রামিত হয়েছেন সেখানে কীভাবে স্কুল খোলা রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 5 Major rules change from January 2022: ATM থেকে রান্নার গ্যাস, জানুয়ারি থেকে আমূল বদল, জেনে নিন