Uttar Dinajpur: দাদা-বৌদির মাঝখানে ঢুকে পড়েছিল দেওর! রাগে বড় দাদা যা করলেন, হতবাক পাড়ার লোকজন

Karandighi: এরপরই দাদা ও বৌদির গোলমালের মাঝখানে ঢোকেন গুল মহম্মদের ভাই দিল মহম্মদ। দাদাকেই চুপ করতে বলেন ভাই।

Uttar Dinajpur: দাদা-বৌদির মাঝখানে ঢুকে পড়েছিল দেওর! রাগে বড় দাদা যা করলেন, হতবাক পাড়ার লোকজন
ভাইকে খুনের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 9:04 AM

উত্তর দিনাজপুর: দাদা বৌদির মধ্যে বিবাদ। তা মেটাতে গিয়ে নারকীয় ঘটনা ঘটে গেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) করণদিঘিতে। অভিযোগ, দাদার হাতে প্রাণটাই দিতে হল ভাইকে। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দিল মহম্মদ। করণদিঘি থানার পূর্ব ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দিল মহম্মদরা দুই ভাই। তাঁর দাদার নাম গুল মহম্মদ। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে গুল ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই বচসা ক্রমেই চরম আকার ধারণ করে। গুল তাঁর স্ত্রীকে মারতেও উদ্যত হয় বলেই অভিযোগ।

এরপরই দাদা ও বৌদির গোলমালের মাঝখানে ঢোকেন গুল মহম্মদের ভাই দিল মহম্মদ। দাদাকেই চুপ করতে বলেন ভাই। তা শুনেই খড়্গহস্ত হয়ে ওঠেন গুল মহম্মদ। এর পর ভাইয়ের সঙ্গেও তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময়ই ঘর থেকে ধারাল অস্ত্র এনে গুল তাঁর ভাই দিলের গলায় আঘাত করেন।

দিল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দিল মহম্মদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় করণদিঘি থানার পুলিশ। অভিযোগ, ততক্ষণে অভিযুক্ত দাদা পালিয়ে যায়। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

দিল মহম্মদের বাড়ির লোকের অভিযোগ, পূর্ব ফতেপুরে একই বাড়িতে থাকতেন দুই ভাই। দুই ভাইয়ে সম্পর্ক যে খুব খারাপ তেমনটাও জোর দিয়ে বলছেন না কেউই। তবে গুল মহম্মদ নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। নেশার ঘোরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে অভিযুক্ত ছেলের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাবা।

দিল মহম্মদের খুড়তুতো দাদা নাসিরুদ্দিন বলেন, “দাদা ওর বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছিল। ভাই বাধা দেয়। দাদাটা নেশা করছিল সেই সময়। সেই সময়ই পাল্টা ভাইয়ের উপর চড়াও হয় সে। এরপরই এই ঘটনা বলে শুনেছি।”

দিল মহম্মদের বাবা বলেন, “আমার বাড়ি পূর্ব ফতেপুর। দুই ছেলেকে নতুন করে বাড়ি করে দিয়েছি। আমার সাত ছেলে, এক মেয়ে। তিন ছেলে ওই নতুন বাড়িতে থাকে। কী থেকে যে এই ঘটনা ঘটল এখনও বুঝতে পারছি না। আমি শুনলাম বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছিল এক ছেলে। অন্যজন না করে। এরই মধ্যে ফোন এল যে এক ছেলে মারা গিয়েছে। আমার বড় ছেলে পাঁচ নম্বর ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। আমি চাই বড় ছেলে শাস্তি পাক।”

আরও পড়ুন: COVID Vaccine: শিবের মাথায় হাত রেখে মহিলা বললেন, ‘মহাদেবের বারণ রয়েছে, আমি কিছুতেই টিকা নিতে পারব না’