Crime News: একছুট্টে খাটের তলায় গিয়ে লুকোলেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী, পাড়ায় হইহই পড়ে গিয়েছে ততক্ষণে…
Dinajpur: এই ঘটনায় তারক দাসের পরিবারের পাশাপাশি আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষও।
উত্তর দিনাজপুর: দোকানে এসে হপ্তা চেয়ে গিয়েছিল এক যুবক। তা দিতে রাজি হননি ব্যবসায়ী। অভিযোগ, সেই রাগেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে সোমবার রাতে বোমাবাজি করা হয়। ২ বছরের বাচ্চা, স্ত্রী, বয়স্ক মা, কাকা কাকিমাদের নিয়ে আতঙ্কে ওই ব্যবসায়ী। রায়গঞ্জ (Raigung) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাজিতপুর গ্রামের তারক দাস। সোমবার মধ্যরাতে পরপর দু’টি বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তারক দাসের পরিবারের পাশাপাশি আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর বাড়ির পাশেই তারক দাসের ইট, সিমেন্টের দোকান। তাঁর স্ত্রী রিঙ্কি দাসের কথায়, ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় এক দুষ্কৃতী তারক দাসকে হুমকি দেয়। টাকা না দিলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
এরইমধ্যে সোমবার রাতে একদল দুষ্কৃতী তারক দাসের বাড়িতে বোমাবাজি করে। পরপর দু’টি বোমা মারে। পরে ওই ব্যবসায়ী ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, চারিদিকে ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বোমা মারার ঘটনায় গোটা এলাকা আতঙ্কিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
তারক দাসের কথায়, “আমার কাছে একটা ছেলে হপ্তা চায়। ওকে সেই টাকা দিতে পারিনি। মনে হচ্ছে ও করিয়েছে এসব। ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল, দিতে পারিনি। তখনই বলেছিল আমার ঘরের কাছে বোমা রেখে পুলিশ ডেকে এনে কেস খাওয়াবে। বলেছে বুকে গুলি করে দেবে। আমাদের গোটা পরিবারকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মিটার বক্স, ইলেকট্রিক লাইন সব উড়ে গিয়েছে। বাইরে মানুষ থাকলে মেরে দিত।”
তারকের স্ত্রী রিঙ্কি বলেন, “ঘরে ২ বছরের বাচ্চাও ছিল। আমরা তো ভয়ে খাটের নীচে ঢুকে পড়ি। খুবই ভয় লাগছে। কারা করছে কিছুই বুঝতে পারছি না। পুলিশ এটা খুঁজে বার করুক। বোমা যেখানে পড়ে, পাশেই রান্নার গ্যাসের ভরা সিলিন্ডার রাখা ছিল। বুঝতে পারছেন ঠিকমতো বিস্ফোরণ হলে কী হত? বিকট শব্দ শুনে গোটা পাড়া ভেঙে বাড়িতে চলে আসে। ২২ ডিসেম্বর ওর দোকানে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বোমা মেরে দোকান উড়িয়ে দেবে। আমি তখন পাশেই ছিলাম।”