Waqf Protest in Bengal: রামলীলা অভিযানে ওয়াকফ-প্রতিবাদীরা, ব্যারিকেড ফেলে ভাঙড়েই আটকে দিল পুলিশ
Waqf Protest in Bengal: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদেই সেখানে ছিল কর্মসূচি। কিন্তু তার আগেই ওই বিক্ষোভকারীদের রুখে দেয় পুলিশ। চাপিয়ে দেয় ব্যারিকেড। আর তাতেই চড়ে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চালায় বিক্ষোভকারীরা।

ভাঙড়: সোমেও ওয়াকফ আইন নিয়ে চড়ল বাংলার পারদ। মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার ভাঙড়। সেখানে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি। যার জেরে কার্যত অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে। জানা গিয়েছে, এদিন রামলীলা ময়দান অভিযান নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদেই সেখানে ছিল কর্মসূচি। কিন্তু তার আগেই বিক্ষোভকারীদের রুখে দেয় পুলিশ। চাপিয়ে দেয় ব্যারিকেড। আর তাতেই চড়ে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চালান বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের দাবি, রামলীলা ময়দানে যে ওয়াকফ নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে, সেই প্রসঙ্গে আগে থেকে থানায় কোনও অনুমতিপত্র জমা দেওয়া হয়নি। এদিন প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেন। তখনই তাদের বাসন্তী হাইওয়েতে রুখে দেয় পুলিশ।
এক বিক্ষোভকারীর আবার দাবি, ‘পুলিশ আমাদের হঠাৎ এখানে আটকে দিল। বলছে, আমাদের নাকি কোনও বৈধ অনুমতি নেই। তাই অন্য জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে। কিন্তু আমরা অন্য জায়গায় কেন যাব? আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এই মর্মে আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী পুলিশের দিকে তোপ দেগে বলেন, ‘উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তো পুলিশ। রাজ্য যে ২৬ হাজার চাকরি গিয়েছে, সেই দিক থেকে তো মানুষের মন ঘোরাতে হবে। তাই জন্য আমরা যখন কেন্দ্রের একটা আইনের বিরোধিতা করে ও বাবা অম্বেদকর সাহেবের জন্মজয়ন্তি পালনের জন্য রামলীলা ময়দানের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রুখে গোলযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আমাদের কাছে সব ভিডিয়ো রয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা আইনের পথে যাব।’ এরপরেই রাজ্য বিজেপির দিকে তির দেগে নওশাদ বলেন, ‘গতকালই তো সুকান্ত-শুভেন্দুরা কলেজ স্কোয়ারে সভা করল। বিদ্বেষমূলক কথাও বলল। ওদের তো কেউ আটকাল না।’
পাল্টা তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, ‘তৃণমূলের এখনও সেই দুরাবস্থা হয়নি যে ISF-এর মতো চার পয়সার দলকে বাধা দিতে হবে। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই ওরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে এসব কথা বলছে।’ এরপরেই বিজেপি-ISF আঁতাতের অভিযোগ টেনে তিনি বলেন, ‘নওশাদের সঙ্গে এখন সবচেয়ে বেশি সুসম্পর্ক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।’





