আলিপুরদুয়ার: একাধিবার প্রশাসনিক আশ্বাস পেয়েও কাজ (Forest department recruitment) মেলেনি। অবশেষে একাই বনদফতরের পশ্চিম দমনপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন বিশ্বদীপ মণ্ডল।
বিশ্বদীপের অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত টানা সাত বছর দেড় হাজার টাকা বেতনে অস্থায়ী ভাবে বনকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। আচমকা কোনও নোটিস না দিয়ে তাঁকে কর্মচ্যুত করা হয়। বনসহায়ক পদে (Forest department recruitment) বিশ্বদীপকে নিয়োগ করা হবে এমনই আশ্বাস দিয়েছিলেন আধিকারিকরা। পরীক্ষা দিলেও মেধাতালিকায় নাম ছিল না বিশ্বদীপের। কিন্তু সাত বছরের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই তাঁকে বনসহায়ক পদে (Forest department recruitment) নিয়োজিত করা হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন দফতর আধিকারিকরা।
কিন্তু, সময় পেরিয়ে গেলেও কোনও সুরাহা না পেয়ে গত জানুয়ারিতে টানা ছয়দিন অনশন করেন বিশ্বদীপ। তখন প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে অনশন প্রত্যাহার করেন তিনি। কিন্তু মাস চলে গেলেও কাজের (Forest department recruitment) সুরাহা হয়নি। তাই শুক্রবার থেকে ফের অনশনে বসেছেন বিশ্বদীপ।
এই ঘটনায় রেঞ্জার সুজিত বর্মা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিশ্বদীপ আগে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তা জানা নেই। গোটা বিষয়টি আলোচনা করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বনসহায়ক পদে কর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতা হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া তদন্তসাপেক্ষ বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বার্তার প্রত্যুত্তরে জানান, বনসহায়ক পদে কর্মী নিয়োগে অস্বস্ছতার পেছনে শাসক দলের যথেষ্ট হাত ছিল। এ হেন পরিস্থিতিতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ারে বনসহায়ক পদে (Forest department recruitment) চাকরির দাবিতে বিশ্বদীপের আমরণ অনশনে কার্যতই অস্বস্তিতে পড়েছে বনদফতর।