স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু উচ্চশিক্ষা দফতরে, প্রধান শিক্ষকদের প্রশ্নমালা পাঠাল বিকাশ ভবন
পশ্চিমবঙ্গে পুজোর পরে একদিন ছাড়া একদিন স্কুল খোলা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: করোনা দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হতেই পঠনপাঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেশের একাধিক অংশে। স্কুল খোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গেও পুজোর পরে একদিন ছাড়া একদিন স্কুল খোলা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আশ্বাসের কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লাসরুম খোলার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর।
প্রায় দেড় বছর সময় ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে ক্লাসরুমগুলি। তাই স্কুল খোলার আগে বিদ্যালয়গুলির হাল-হকিকত বুঝে নিতে চাইছে বিকাশ ভবন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান শিক্ষকদের কাছে এসে পৌঁছেছে সেই একটি ফর্ম। দ্রুত সেই ফর্ম পূরণ করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর। স্কুল পরিদর্শক মারফত সেই ফর্মে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। মূলত ৬ টি প্রশ্ন রাখা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের সামনে।
১. স্কুলের কতগুলি ঘর পরিষ্কার করতে হবে? সারিয়ে তুলতে হবে এমন ঘরের সংখ্যা কটি? ২. স্কুল সম্পূর্ণ ঠিক করে তা খোলার অবস্থায় আনতে কত টাকা প্রয়োজন? ৩. স্কুলের রান্নাঘর কি সারাতে হবে? যদি সারাতে হয় তাহলে কত টাকা লাগবে? ৪. শৌচাগার কি সারাতে হবে? ৫. পানীয় জলের ব্যবস্থা কি সারানো প্রয়োজন রয়েছে? ৬. স্কুলের আসবাব মেরামত করতে হবে?
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। প্রথমে আমফান, এরপর ইয়াসে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর বেশ কিছু স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করে বিক্ষোভও দেখিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। এরই মধ্যে পুজোর পর স্কুল খোলার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে স্কুলগুলিকে খোলার উপযুক্ত করে তুলতেই এই তথ্য নিচ্ছে বিকাশ ভবন। আরও পড়ুন: ৫ টাকায় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ফর্ম বিক্রি! অভিযোগ পেতেই কঠোর সিদ্ধান্ত নবান্নর