বর্ধমান: দেশ তো বটেই, বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের বুকেও একের পর এক বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনার ছবি দেখা গিয়েছে। এই তো কদিন আগে মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর না নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। মালগাড়ির চালকদের দুরাবস্থার কথা নিয়েও শুরু হয়েছিল শোরগোল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলতে থাকে চাপানউতোর। প্রয়োজনের তুলনায় কম চালক নিয়ে চালানো হচ্ছে মালগাড়ি, এই মর্মে সামনে আসতে থাকে নানা পোস্ট। অভিযোগ উঠতে থাকে, চালকদের পদ খালি থাকলেও সেখানে নিয়োগ করছে না রেল। এবার সেই অভিযোগই নস্যাৎ করে দিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
শনিবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনের রানিংরুমে সাংবাদিক বৈঠকে করলেন কৌশিক। সেখানেই স্পষ্ট বললেন, রেল দুর্ঘটনার পর মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা চর্চা শুরু হয়। বারাবার বলা হয় রেলে নাকি প্রচুর ট্রেন চালকের পদ ফাঁকা আছে। কিন্তু এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ। কৌশিক মিত্র বলেন, “সব বিভাগের মতোই রেলের চালকরাও অবসর নেন। তারপরেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে নতুন চালকদের নিয়োগ করা হয়।”
সোজা কথায় তাঁর দাবি, প্রয়োজন অনুসারেই চলে নিয়োগ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনার পর মালগাড়ির চালকদের বিশ্রামে ঘাটতির বিষয় নিয়েও চলে চাপানউতোর। বাড়তি সময় খাটানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এদিন তাও মানতে চাইসেন না কৌশিকবাবু। তিনি বলছেন, রেলের ড্রাইভারদের যে রেস্ট রুম আছে তা একবারেই আধুনিক পরিষেবা যুক্ত। যোগা, ট্রেড মিল, ম্যাসাজ চেয়ার, টেবিল টেনিস খেলার জায়গা, এট্যাচ বাথ সবই রয়েছে। এমমকী তাঁর দাবি, চালকদের খাওয়া-দাওয়াও বিষয়েও সদা সতর্ক থাকে রেল। রেলের পক্ষ থেকেই সেই রান্না করে দেওয়া হয়।