সেরে উঠলেও থেকে যাচ্ছে ‘লং কোভিড’, উদ্বেগজনক রিপোর্ট গবেষণায়
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজের গবেষণা অনুযায়ী, করোনাজয়ী প্রতি ১০ জনের ১ জনের শরীরে দীর্ঘদিনের জন্য থাকছে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ইনসমনিয়া।
সিঙ্গাপুর: বারবার ভয় বাড়াচ্ছে করোনা (COVID 19)। ভ্যাকসিন এসেও শান্তি নেই। একাধিক রূপভেদ ও সংক্রমণে ব্যতিক্রমি লক্ষণ বারবার জ্বালাচ্ছে গোটা দেশকে। ডেল্টা, ল্যামডা, কাপ্পার মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে করোনার দীর্ঘকালীন উপসর্গ। গবেষণা বলছে, সিঙ্গাপুরে করোনা থেকে সেরে ওঠা ১০ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে থেকে যাচ্ছে করোনার উপসর্গ।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজের গবেষণা অনুযায়ী, করোনাজয়ী প্রতি ১০ জনের ১ জনের শরীরে দীর্ঘদিনের জন্য থাকছে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ইনসমনিয়া। ৩ হাসপাতালের ২৮৮ জন রোগীর ওপর গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজ।
কী এই লং কোভিড?
সংক্রমণ ধরা পড়ার চার সপ্তাহ বাদেও যদি উপসর্গ থেকে যায়, তবে তাকে লং কোভিড বলা হয়। বিভিন্ন বয়সসীমার উপর করা ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লং কোভিডের অন্যতম উপসর্গগুলি হল- সারা শরীরে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ কোলেস্টেরল, অস্বস্তি, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্লান্তিভাব।
গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, যাঁরা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের তুলনায় যাদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে না কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না, তাঁদের সংক্রমণের ৩০ দিন বাদে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৪৬ গুণ বেশি। উপসর্গহীন করোনা রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশই এই লং কোভিডের ভুক্তভোগী বলে জানা গিয়েছে। করোনার উপসর্গ যুক্ত কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই অসুস্থতার হার ২৭.৫ শতাংশ।
লং কোভিডে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গিয়েছে। তবে হৃৎযন্ত্রে প্রদাহ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা গিয়েছে। তবে শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, মানসিক প্রভাবও পড়েছে। উদ্বেগ বা অ্যানজাইটির মতো সাধারণ উপসর্গের পাশাপাশি মানসিক অবসাদ, মিলেমিশে চলায় অসুবিধার মতো নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন: একা ‘আলফা’-এ রক্ষা নেই, দোসর ‘বিটা’ও, করোনার ২ ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণে মৃত্যু বৃদ্ধার