লকডাউনে মহাকাশে, পৃথিবীতে ফিরেই কী হাল জানতে চাইলেন তাঁরা

১৯৬ দিন মহাকাশে কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে নাসার মহাকাশচারী ক্রিস ক্যাসিডি প্রথমেই পৃথিবীর হালহকিকত জানতে চাইলেন। লকডাউনের মাঝে মহাকাশ যাত্রা করায় চিরাচরিত প্রথায় তাদের শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করেনি পরিবার-পরিজন কিংবা অনুগামীরা।

লকডাউনে মহাকাশে, পৃথিবীতে ফিরেই কী হাল জানতে চাইলেন তাঁরা
মহাকাশ থেকে ফিরে একসঙ্গে সবাই। ছবি সৈজন্যে টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 8:42 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: “কেমন চলছে সব?”-১৯৬ দিন মহাকাশে কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে এটাই প্রথম কথা নাসার মহাকাশচারী (Astronaut) ক্রিস ক্যাসিডি। সঙ্গী ছিলেন রাশিয়ার অ্যানাটলি ইভানিশিন ও আইভান ভ্যাগনের।

লকডাউন(Lockdown)-র মাঝেই মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা। তাই চিরাচরিত দর্শকদের ভিড়, পরিবারের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে রকেটে চাপার অনুভূতি থেকে বাদ পড়েছিলেন। করোনা সংক্রমণের কারণে যাত্রার আগে কঠোর ভাবে কোয়ারান্টিনে (Quarantine) দিন কাটাতে হয়। ফিরে এসে তাই প্রথমেই পৃথিবীর হালহকিকত জানতে চাইলেন তিন মহাকাশচারী(Astronaut)।

আজ দুপুর ২টো ৫৪ মিনিটে জ়েজকাজ়ানের অন্তর্গত কাজ়াক শহরের ১৫০ কিমি দূরে অবতরণ করে তাঁদের মহাকাশযান সয়ুজ় এমএস-১৬( Soyuz MS-16)। রুশ মহাকাশ সংস্থা “রসকসমোস” ল্যান্ডিংয়ের ভিডিয়োটি প্রকাশ করে। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, রিকোভারি সাইটে পৌঁছে ক্যাসিডি এক ক্রু সদস্যকে কনুইয়ের গুঁতো মারছেন এবং বাকিদের স্যালুট জানাচ্ছেন।

নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে এপ্রিল মাসে এলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’ সংস্থা মহাকাশযাত্রার সমস্ত খরচ বহন করে। বাইকনুর থেকে মাত্র তিন ঘণ্টা তিন মিনিটেই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিন মহাকাশচারী। সেখানে ১৯৬ দিন কাটিয়ে আজ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় পৃথিবীর বুকে ফিরে এলেন।

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসাকে তিন মহাকাশচারী(Astronaut)-ই নিজের ভঙ্গিতে বাকিদের কাছে তুলে ধরেছিলেন। মার্কিন নৌবাহিনীর সেনা ক্যাসিডি এই নিয়ে তিনবার মহাকাশ যাত্রা করলেন। তিনি রক্তের নমুনার ছবি তুলে একটি টুইট করে লেখেন, “পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য কী দাম দিতে হয়? আট টিউব রক্ত!! ছবিতে যে সাত টিউব রক্ত দেখা যাচ্ছে তা আজ সকালে নেওয়া হয়েছে এবং ডিপ ফ্রিজারে রাখা থাকবে। আট নম্বর টিউবে রক্ত নেওয়া হবে পৃথিবীতে পৌঁছনোর পরই।” অন্যদিকে প্রথমবার মহাকাশে যাওয়া ভ্যাগনের মাইক্রো ব্লগিং সাইটে লেখেন, “মা,আমি বাড়ি আসছি।”

সম্প্রতি ইন্টার ন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের কয়েকজন সদস্য অক্সিজেন তৈরির সিস্টেম, টয়লেট ও খাবার তৈরি করার ওভেন নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। রসকসমোসের তরফ থেকে মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কর্মীদের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। স্টেশনের সব সিস্টেমই সঠিকভাবে কাজ করছে এবং কর্মীদের জীবনের কোনও ঝুঁকি নেই।