ইসলামাবাদ: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। কমপক্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। সিয়া সম্প্রদায়ের একটি জুলুসকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই বৃহস্পতিবার এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এদিন দুপুরে শিয়া সম্প্রদায়ের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জুলুস বোমা ফেটে তীব্র বিস্ফোরণ হয়।
পাকিস্তানের বাহাওয়ালনগরের জিন্না কলোনিতে মহরমের আগে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিস্ফোরণের পরবর্তী মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ও স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্সে করে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আসাদ ও সিয়া নেতা খাবর শফাকত এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
5 People killed and 35 injured . and this bomb blast targeted Shia during Majlis jalos ? our hearts are already broken .why they breaking it more and more Labaik ya Hussain #Bahawalnagar pic.twitter.com/Jw52qdD7tZ
— Syeda Kisa (@SocialPakistan5) August 19, 2021
#BREAKING | পাকিস্তানের বহাবলনগরে বিস্ফোরণ। মৃত ৩, আহত কমপক্ষে ৪০।
সব খবর: https://t.co/fAglENWOjO#Pakistan | #BombBlast | @ImranKhanPTI pic.twitter.com/A5LSZS6ue0
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) August 19, 2021
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তারই নিরিখে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বড় শহরগুলিতে মোবাইল ফোন পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুন্নি বহুল পাকিস্তানে সিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অভিযোগ, পাকিস্তানে একাধিকবার সিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বিবাদের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভও হয়েছে অতীতে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট সে দেশের সিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিন জুলুসের মাঝে কী ভাবে হামলা চলল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানকার মানুষ। খাওবর শফকত জানান, সবরকম পুলিশি অনুমতি নিয়ে মহরমের এই জুলুস তাঁরা বের করেছিলেন। তার পর এ ধরনের হামলার মুখে পড়তে হল তাঁদের। দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা।
এর আগে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ১৪ অগস্ট একটি ট্রাকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। একটি ট্রাককে নিশানা করে ছোড়া হয় হ্যান্ড গ্রেনেড। ওই ট্রাকে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে ২০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। করাচির বালদিয়া শহরে এই হামলা হয়। ১৩ জনের মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: সর্বসম্মত রায় ‘সিবিআই তদন্ত’! তবে রাজ্যকে সম্পূর্ণ দোষী মানতে নারাজ, ভিন্ন পর্যবেক্ষণ দুই বিচারপতির