USA nightclub shooting: সমকামীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা, মার্কিন নাইটক্লাবে গুলিতে ঝাঁঝরা ৫

Nightclub shooting at USA' Colorado: রবিবার (২০ নভেম্বর) আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, কলোরাডো স্প্রিংস এলাকার এক নাইটক্লাবে এক বন্দুকবাজের হামলায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন।

USA nightclub shooting: সমকামীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা, মার্কিন নাইটক্লাবে গুলিতে ঝাঁঝরা ৫
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কলোরাডো পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 4:59 PM

ওয়াশিংটন: ফের আমেরিকার বুকে বন্দুকবাজের হামলা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলোরাডো প্রদেশের কলোরাডো স্প্রিংস এলাকার এক নাইটক্লাবে (Shooting At Colorado Nightclub) ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। রবিবার (২০ নভেম্বর) কলোরাডো পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনতক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কলোরাডো স্প্রিংস পুলিশের লেফটেন্যান্ট পামেলা কাস্ত্রোর জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে ‘ক্লাব কিউ’ নামে এক নাইটক্লাবে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বন্দুকবাজের পরিচয় জানা গিয়েছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সে আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সূত্রের খবর, ‘ক্লাব কিউ’ একটি ‘গে’ অর্থাৎ সমকামীদের ক্লাব। প্রাথমিকভাবে ঘৃণা থেকেই এই আক্রমণ বলে মনে করছে কলোরাডো পুলিশ। আততায়ী একজন সমকামী বিরোধী বলে অনুমান পুলিশের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আততায়ী ওই ক্লাবে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেছিল। কিন্তু, বিপদ আরও বাড়ার আগেই তাকে নিরস্ত্র করে ওই গে ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আততায়ীও আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ হেফাজতেই তার চিকিৎসা চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাব কিউ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমাদের সম্প্রদায়ের উপর এই নির্বোধ আক্রমণের কারণে ক্লাব কিউ মর্মাহত। নিহতদের এবং তাঁদের পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা সেই সকল গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যারা দ্রুত ওই বন্দুকবাজকে ধরে ফেলেছিলেন এবং তার এই ঘৃণামূলক হামলা প্রতিহত করেছেন।”

২০১৬ সালে ফ্লোরিডা প্রদেশের অরল্যান্ডো শহরে এক গে ক্লাবে হামলা জানিয়েছিল ওমর মতীন নামে এক ২৯ বছরের ব্যক্তি। বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ৪৯ জনকে। আরও ৫৩ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তিন ঘণ্টা ধরে আততায়ীর সঙ্গে গুলির যুদ্ধ চলেছিল অরল্যান্ডো পুলিশের। শেষ পর্যন্ত পুলিশেরক গুলিতে নিহত হয়েছিল ওমর মতীনও।