Bangladesh: সিনেমার কায়দায় আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত জঙ্গীকে ছিনতাই, ঢাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’

Bangladesh: পুলিশের চোখে গোলমরিচের স্প্রে করে, কিল-ঘুসি মেরে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি - মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মহম্মদ আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে।

Bangladesh: সিনেমার কায়দায় আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত জঙ্গীকে ছিনতাই, ঢাকায় 'রেড অ্যালার্ট'
মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মহম্মদ আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 8:57 PM

ঢাকা: পুলিশের চোখে গোলমরিচের স্প্রে করে, কিল-ঘুসি মেরে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি – মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মহম্মদ আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে। দুজনেই কুখ্যাত জঙ্গি এবং দুই মুক্তমনা লেখককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত। রবিবার (২০ নভেম্বর), ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী রইল বাংলাদেশ। ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুপুরে, ঢাকা শহরের রায়সাহেব বাজার মোড়ের কাছে অবস্থিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান দ্বারের সামনে। এই ঘটনার পর, গোটা বাংলাদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, একটি মামলার শুনানির শেষে আদালত থেকে হাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই দুই হাই প্রোফাইল বন্দিকে। কিন্তু, আদালত ভবনের বাইরেই অপেক্ষা করছিল ওই জঙ্গিদের সঙ্গীরা। তারা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে গোলমরিচ স্প্রে করে, তাদের কিল-ঘুসি মেরে আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মহম্মদ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে জঙ্গিরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। আদালত চত্বরেই তারা দুটি মোটরসাইকেল প্রস্তুত রেখেছিল। সেই মোটরসাইকেলে করেই তারা পালায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আদালত চত্বরের আশপাশেই কোনও এলাকায় লুকিয়ে আছে আসামিরা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে। আদালতের আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের সিসিটিভি মনিটরিংয়ের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজও দেখা হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত আজিজ সুপার মার্কেটে খুন কর হয়েছিল জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে। ওই বছরেরই ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে বইমেলা’ থেকে বের হওয়ার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল লেখক তথা ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে। এই দুই হত্যাকাণ্ডেই জড়িত ছিল দুই পলাতক আসামি মইনুল হাসান শামীম ও মহম্মদ আবু ছিদ্দিক সোহেল। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায়ে দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। তারা দুজনেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।

রবিবারের চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এই ঘটনায় কারোর গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছে। শিগগিরই তাদের ধরা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী আরও বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। এই ঘটনায় যদি কারোর অবহেলা থাকে, যদি কারোর গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছে করে এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে বল জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।