Bangladesh News: ‘সকালেই রুটি খাইয়েছি’, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
Bangladesh News: সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তিন বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার। কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা-বাবা।
ঢাকা: বাংলাদেশের নরসিংদীর একটি নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল শিশুর মৃতদেহ। তিন বছরের ওই মৃত শিশুর নাম মোহম্মদ আশরাফুল। শনিবার বেলা একটার সময় দমকল ও পুলিশ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করল। আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে মৃত শিশুর দেহ।
নরসিংদীর উত্তর ঘোড়াদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহম্মদ আলফাজ মিঞা। তিনি পেশায় কলা বিক্রেতা। তাঁর স্ত্রী আম্বিয়া বেগম পথেঘাটে ভিক্ষা করে টাকা উপার্জন করেন। তাঁদের একটিমাত্র সন্তান, তিন বছরের আশরাফুল। এই ঘটনায় নিজেদের একমাত্র সন্তানকে হারালেন দম্পতি। যে বাড়ি থেকে আশরাফুলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তা থেকে দম্পতির বাড়ির দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার। তাই পুলিশের মনে সন্দেহ জেগেছে, তিন বছরের শিশু কীভাবে সেই নির্মীয়মান বাড়িতে গেল।
বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ওই নির্মীয়মান বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে থাকতে দেখেন আশরাফুলকে। তাঁদের মধ্যে একজনই জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করেন। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, যে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তার উচ্চতা প্রায় ছয় সাত ফুট। সেই ট্যাঙ্কের কোনও ঢাকনাও ছিল না। এই ঢাকনা ছাড়া ট্যাঙ্কে শিশু কীভাবে এল তা নিয়েই ঘনাচ্ছে রহস্য।
মৃত শিশুর মা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০ টার পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘সকাল ১০ টার দিকে ওকে রুটি খাইয়েছিলাম। তারপর বাইরে বাকি শিশুর সঙ্গে ও খেলছিল। তারপর সাড়ে ১০ টার পর ওকে আর দেখতে পাচ্ছিলাম না। শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। এখানে এসে দেখি, আমার ছেলে আশরাফুলের মৃতদেহ। তবে কীভাবে এত দূরে চলে এল বুঝতে পারছি না।’ এদিকে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশে এক কিশোরী ও এক শিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। পরে স্নান করে এসে দেখতে পান ছুটে পালাচ্ছে সেই কিশোরী। তবে সেই সময় শিশুটিকে আর দেখতে পাননি তিনি।