তাইওয়ান: কোভিড সংক্রমণ নিয়ে নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে চিনে। এই আবহেই ফের তাইওয়ানের আকাশে চক্কর চিনা যুদ্ধবিমানের। আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই চিনের চোখরাঙানি শুরু হয়েছিল। তার পর থেকে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চিনা যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং জলসীমায় যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি উত্তাপ ছড়িয়েছিল। ফের চিনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, চিন সেনার ৪৭টি মিলিটারি যুদ্ধবিমান সীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশসীমায় সরাসরি ঢুকে পড়ে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ৭টি চিনা যুদ্ধজাহাজকেও তাইওয়ানের জলসীমার কাছে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি।
চিনা যুদ্ধবিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি সামরিক ভীতি দেখিয়ে আমাদের জনগণের মনে ভয়ের সঞ্চার করতে চাইছে।” তারা আরও জানিয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির (চিনা সেনাবাহিনী) ৭১টি যুদ্ধবিমান এবং ৭টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের সীমায় ঢুকেছিল। সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ সে গুলিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ৭১টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ৪৭টি তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকেছিল বলে অভিযোগ।
যদিও সামরিক ভীতি প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ে তাইওয়ানের দাবিকে নস্যাৎ করেছে চিনা সেনা। চিনের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ান ঘিরে এটা তাদের রুটিন মহড়া ছিল। তাইওয়ান ও আমেরিকার যোগসাজশ ও প্ররোচনার জন্যই চিনকে এই সেনা মহড়া বাড়াতে হয়েছে বলে দাবি চিনের।
গত সপ্তাহেই তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চল কম্যান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করা হবে। এর পাশাপাশি গত সপ্তাহে আমেরিকা বিভিন্ন দেশকে এক লক্ষ ৭০ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্যের ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে তাইওয়ানকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্রসাহায্যে করার কথা জানানো হয়েছে। এই পদক্ষেপকে উস্কানিমূলক বলেছিল চিন। সেই প্রত্যুত্তরেই চিনের এই সামরিক মহড়া বলে মত বিশেষজ্ঞদের।