Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল তারই! শুরু হল ‘মাস্টারমাইন্ড’ খালেদ মহম্মদের বিচার

১৫ বছর ধরে মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটির কাছে একটি জেলে বন্দি রয়েছে এই খালেদ মহম্মদ ও তার কয়েকজন সহযোগী।

৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল তারই! শুরু হল 'মাস্টারমাইন্ড' খালেদ মহম্মদের বিচার
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 10:45 AM

ওয়াশিংটন: আর কয়েক দিন বাদেই ১১ সেপ্টেম্বর। ২০ বছর কেটে গেলেও এই দিনটা আজও মনে করিয়ে দেয় সে দিনের মর্মান্তিক ছবি। চোখের সমানে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল আমেরিকার টুইট টাওয়ার। সেই ঘটনার ২০ বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগেই শুরু হল অন্যতম অভিযুক্তের বিচার। গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা এই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড খালেদ মহম্মদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন। কিউবার গুয়ান্তানামোয় মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটির খুব কাছেই একটি জেলে বন্দি রয়েছে খালেদ মহম্মদ।

করোনা অতিমারির জেরে ১৭ মাস ধরে বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। এবার সেই প্রক্রিয়াই আবার শুরু হচ্ছে। গুয়ান্তানামোতে সামরিক বিচার হওয়ার উদ্যোগ আগেই নেওয়া হয় এই বন্দির। কিন্তু নানা কারণে বারবার থেমে যায় সেই প্রক্রিয়া। কোভিড মহামারির কারণে গুয়ান্তানামো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই বিচার প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে যায়।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনায় যার নাম সবার আগে সামনে আসে সে হল ওসামা বিন লাদেন। আল কায়দার নেতা লাদেনকে খুঁজে বের করে নিকেশ করতে সক্ষম হয়ে আমেরিকা। কিন্তু জানা যায়, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খালেদ শেখ মোহম্মদ, যিনি সংক্ষেপে কেএসএম নামে পরিচিত। জানা যায়, বিমান দিয়ে যে এভাবে হামলা করা যায়, সেই ধারনা নাকি ইনিই দিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে একটি হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছিল। ওই পরিকল্পনায় প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। তখন থেকেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর নজরে ছিলেন খালেদ। মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, খালেদের তার জন্ম কুয়েতে। পড়াশোনা করেছেন আমেরিকায়।

খালিদ শেখ মোহম্মদকে ২০০৩ সালে খুঁজে বের করা হয়। তাকে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তাকে এমন একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উন্নততর কৌশল ব্যবহার করা হয়। বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তখন স্বীকার করেন এই খালেদ মহম্মদ। ২০০৬ সালে গুয়ান্তানামো বে কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয় ওই বন্দিকে। পরে সেখানে এফবিআইকে যেতে দেওয়া হয়।