তালিবদের অন্দরে টানাপোড়েন চরমে, রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাসবাদী তালিকায় থাকা মোল্লা আখুন্দই হবে প্রধানমন্ত্রী!

তালিবানের একাংশ, হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে টানাপোড়েন। বরাদরের নাম সামনে এলেও পরে তা নিয়ে দোলাচল তৈরি হয়।

তালিবদের অন্দরে টানাপোড়েন চরমে, রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাসবাদী তালিকায় থাকা মোল্লা আখুন্দই হবে প্রধানমন্ত্রী!
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 7:34 AM

কাবুল: তিন সপ্তাহ আগে কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। অথচ এখনও হল না সরকার গঠন। মোল্লা বরাদরকে সরকার প্রধান হিসেবে সামনে রেখে আফগানিস্তানেরনয়া তালিবান সরকার গঠিত হবে, এমন সম্ভাবনার কথা সামনে এসেছে। কিন্তু এখনও কোনও নাম স্পষ্ট হল না। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে ঘুরে গিয়েছেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান। সরকার গঠনে পাকিস্তানও যে মতামত দিয়েছে, তা স্পষ্ট। মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সামনে আসছে নয়া নাম। বেছে নেওয়া হতে পারে তালিবান নেতা মোল্লা হাসান আখুন্দকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় নাম রয়েছে আখুন্দের।

মতভেদ রয়েছে অনেক। তালিবানের অন্দরেই রয়েছে মতপার্থক্য। একদিকে রয়েছে তালিবানের দোহা ইউনিট, অন্যদিকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও কান্দাহারে থাকা তালিবানের একাংশ। এদের মধ্যে সরকার প্রধানের নাম নিয়ে টানাপোড়েন হয়েছে। তাই আপাতত তালিবান যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাতে মোল্লা আখুন্দ প্রধানমন্ত্রী হলে মোল্লা বরাদর ও মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব হবে তাঁর সহকারী। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রধান হিসেবে ভাবা হচ্ছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজ হাক্কানিকে, তাঁর নামও রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদীর তালিকায়। এ ছাড়া তালিবান নেতা হিবাতু্ল্লা আখুন্দজাদা হতে পারে সুপ্রিম লিডার বা সর্বোচ্চ নেতা।

ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব তো ছিলই। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছিল তালিবান নাকি হাক্কানি নেটওয়ার্ক কারা বেশি গুরুত্ব পাবে? এরই মধ্যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান তথা আইএসআই চিফ কাবুল সফরে আসায় সেই প্রশ্ন আরও প্রকট হয়। গত শুক্রবারই আফগানিস্তানের সরকার গঠনের কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই সেটা বেশ কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, আর ঠিক সেই সময়েই কাবুলে পৌঁছন আইএসআই প্রধান চিফ জেনারেল ফইজ হামিদ। তাই সরকার গঠনে পাকিস্তান কি ভূমিকা নিচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলে। ইতিমধ্যেই সফর সেরে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন হলে যাতে হাক্কানি গ্রুপের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় সে কথা বলতেই উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের রাজনীতিক মরিয়ম সোলাইমানখিল একটি টুইটে লেখেন, ‘আমি যতদূর জানি মোল্লা বরাদরকে যাতে সরকার প্রধান না করা হয় এবং হাক্কানি নেট্ওয়ার্কের নেতাকে যাতে মাথায় বসানো হয় সে জন্যই এসেছে পাকিস্তানের আইএসআই এর ডিজি। শোনা যাচ্ছে বরাদরকে নিয়ে নাকি তালিবানের একাংশের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এমনকি বরাদরের অনুগামীরা যাতে পঞ্জশীর দখলের লড়াইতে যোগ না দেয় সেই বার্তাও নাকি দেওয়া হয়েছে। একসময় এই বরাদরকে বন্দি করেছিল পাকিস্তানের আইএসআই। তাই সেই পাক গোয়েন্দা প্রধানের এই কাবুলে আগমন মোটেই ভালো চোখে দেখেননি বরাদর। আরও পড়ুন: হাজার কোটি টাকা খরচ করেও আমন্ত্রিত নয় ভারত, তালিব সরকার গঠন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চিন-পাকিস্তান!