Adult Trafficking: সম্মতি ছাড়া সেক্স, মোবাইলে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত রেকর্ড—ভিডিয়ো ঘুরছে পর্নহাবে

Lawsuit: পর্নহাবের কর্ণধার সংস্থা আইলো (Aylo) স্বীকার করে নিয়েছে যে প্রযোজনা সংস্থার তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে অনেক সময়ই মহিলাদের জোর করা হত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে এবং তার ভিডিয়ো বানাতে। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই আইলো-কে ১৮ লক্ষ ডলার জরিমানা দিতে বলা হয়েছে।

Adult Trafficking: সম্মতি ছাড়া সেক্স, মোবাইলে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত রেকর্ড—ভিডিয়ো ঘুরছে পর্নহাবে
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2023 | 12:04 PM

লাস ভেগাস: বাড়িতে অভিভাবকদের নজর এড়িয়ে, মোবাইল বা কম্পিউটারে লুকিয়ে লুকিয়ে নীল ছবি দেখেছেন কমবেশি প্রায় সকলেই। কিন্তু সেই ভিডিয়ো আসে কোথা থেকে? পর্নে যাদের দেখা যায়, তারা সকলে কি স্বেচ্ছায় অভিনয় করেন? উঠে আসল প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিয়োর দুনিয়ার অন্ধকার দিক। কাঠগড়ায় জনপ্রিয় পর্ন ওয়েবসাইট পর্নহাব। নীল ছবির কর্ণধার সংস্থা স্বীকার করে নিল যে তারা অনেক মহিলাকেই জোর করে পর্নে অভিনয় করতে বাধ্য করেছিলেন।

সিএনএন-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্নহাবের কর্ণধার সংস্থা আইলো (Aylo) স্বীকার করে নিয়েছে যে প্রযোজনা সংস্থার তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে অনেক সময়ই মহিলাদের জোর করা হত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে এবং তার ভিডিয়ো বানাতে। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই আইলো-কে ১৮ লক্ষ ডলার জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। যাদের জোর করে সেক্স ট্রাফিকিংয়ে নামানো হয়েছিল, তাদের এই জরিমানার টাকা দেওয়া হবে। ফেডেরাল প্রসিকিউটারদের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে আইলো দাবি করেছে যে সেক্স ট্রাফিকিংয়ের গোটা প্রক্রিয়ায় কোনও বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়নি। তবে মার্কিন সরকার আগামী তিন বছর আইলোর গতিবিধি ও কার্যকলাপের উপরে নজর রাখবে। যদি সংস্থা যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দেওয়া হবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আইলো একটি প্রোডাকশন কোম্পানির থেকে মোটা টাকা পেয়েছিল পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট স্ট্রিম করার জন্য। এর মধ্যে এমন অনেক ভিডিয়ো ছিল যেখানে মহিলার অজ্ঞাতেই ভিডিয়ো শুট করা হয়েছিল এবং তাদের অনুমতি ছাড়াই অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল।  ২০১৬ সালে একাধিক মহিলা পর্নহাবের কাছে আবেদন জানায় তাদের ভিডিয়োগুলি ডিলিট করে দেওয়ার জন্য, কিন্তু সেই আবেদনে গুরুত্বই দেয়নি পর্নহাব বা তার কর্ণধার সংস্থা আইলো। ২০১৭ সালে ওই প্রোডাকশন সংস্থার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। এরপরও আইলো ওই ভিডিয়োগুলি যাচাই করেনি বা ওয়েবসাইট থেকে ডিলিট করেনি। ২০১৯ সালে পর্নহাব থেকে ওই প্রোডাকশন সংস্থার ভিডিয়োগুলি সরিয়ে ফেলা হলেও, এখনও অনেক ভিডিয়োই পর্ন সাইটগুলিতে রয়ে গিয়েছে কারণ অন্যান্য ইউজাররা তা রিপোস্ট করেছে।