Afghan Women: ইউনিভার্সিটির মুখও দেখতে পাবে না! ভয় দেখিয়েই ফতোয়ায় সমর্থন করতে বাধ্য করল তালিবান

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 14, 2021 | 9:36 AM

Afghan Women: মাথা থেকে পা অবধি ঢাকা পোশাক দিয়েছে তালিবানই (Taliban)। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্ল্যাকার্ড। 

Afghan Women: ইউনিভার্সিটির মুখও দেখতে পাবে না! ভয় দেখিয়েই ফতোয়ায় সমর্থন করতে বাধ্য করল তালিবান
এভাবেই তালিবানকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন মহিলারা

Follow Us

কাবুল: মহিলাদের স্বাধীনতা দেওয়া হবে। তারা পড়াশোনা করতে পারবে, চাকরিও। ২০ বছর পর দখল নিয়ে এই বার্তাই দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রকট হয়ে উঠেছে তালিবানের (Taliban) স্বরূপ। সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনিভার্সিটির হলে বসে আছেন ছাত্রীরা। তাঁদের মুখ-মাথা ঢাকা কালো কাপড়ে। শুধু চোখের ওপরের আস্তরণটা কিছুটা পাতলা, যা দিয়ে বাইরেটা দেখা যায়। তালিবানের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড ধরতে দেখা যায় ওই মহিলাদের। ৯/১১ হামলার (9/11 attack) বর্ষপূর্তির দিন ওই ছবি সামনে আসে। পরে জানা গিয়েছে, কার্যত ভয় দেখিয়েই তালিবানকে সমর্থন করতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের।

কাবুল ইউনির্সিটির (Kabul Univesrity) এক ছাত্রী জানিয়েছেন, কালো পোশাক পরে ইউনিচার্সটি হলে জড় হতে বলা হয়েছিল আমাদের। এক ঘণ্টা সেখানে বসতে বলা হয়। তালিবানই ওই সব পোশাক দিয়েছিল আমাদের। আমাদের বলা হয়েছিল, তোমরা যদি উপস্থিত না হও, তাহলে ইউনিভার্সিটি থেকে বহিস্কার করা হবে। আর কোনোদিন কোনও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না।

নতুন করে আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান বার্তা দিয়েছিল যে তারা ইসলামের নিয়ম মেনে মহিলাদের কাজ করার সুযোগ দেবে। তবে কোন শর্তে চাকরি করতে দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, তালিবানের নীতি অনুযায়ী, পুরুষ ও মহিলাদের একসঙ্গে পঠন পাঠন করতেও দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কাবুল ইউনিভার্সিটির ছবি দেখিয়ে দিল, আফগানিস্তানে মহিলাদের ভবিষ্যৎ কতটা কঠিন হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিছু প্ল্যাকার্ড, যেখানে ছিল তালিবানি নীতির কথা। সেই সব নীতিকে সমর্থন জানাতে বলা হয় মহিলাদের।

আরও পড়ুন: মারা যাইনি! অডিয়ো বার্তায় জানিয়ে দিল আব্দুল গনি বরাদর

তালিবানি ফতোয়ায় বলা মহিলারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা ছাত্রদের সঙ্গে একই কক্ষে বসতে পারবেন না। আলাদা ক্লাসরুমের ব্যবস্থা না করা গেলে মাঝখানে পর্দা টাঙিয়ে ক্লাস করাতে হবে। মহিলাদের ক্লাসও ৫ মিনিট আগে শেষ করতে হবে, যাতে বেরনোর সময় পুরুষদের সঙ্গে দেখা না হয়। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে ফতোয়া। একমাত্র শিক্ষিকারাই ছাত্রীদের পড়াতে পারবেন। একান্তই যদি শিক্ষিকা না পাওয়া যায়, তবে ভাল চরিত্রের কোনও বয়স্ক শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন: ‘বিলাসিতা জীবন ইসলামে মানায় না, মৃত্যুর পর মেলে’, দোস্তমের বিলাসবহুল প্রাসাদ দখলের পর জানাল তালিবান

Next Article