কিছুটা ব্যাকফুটে হলেও আফগান ভূমে কড়া নজর রাখতে মরিয়া বাইডেন, কেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 04, 2021 | 11:15 AM

Afghanistan : যে আমেরিকানরা এখনও আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন এবং সেখান থেকে বেরোতে চান, তাঁদের সঙ্গে কাতারের দোহায় মার্কিন দূতাবাস থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

কিছুটা ব্যাকফুটে হলেও আফগান ভূমে কড়া নজর রাখতে মরিয়া বাইডেন, কেন?
ফাইল ছবি

Follow Us

ওয়াশিংটন : আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পথে তালিবান। দুই দশকের অভিযান শেষে মার্কিন সেনা ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে পেন্টাগনে। তাড়াহুড়োয় কাবুল ছাড়ার সময়, যে যুদ্ধ সামগ্রী ফিরিয়ে আনতে পারেনি মার্কিন সেনা, সেগুলি নষ্ট করে দিয়ে এসেছে। আর এতে ওয়াশিংটনের উপর বেজায় চটে রয়েছে তালিব যোদ্ধারা। তবে এখনও কিছু মার্কিন নাগরিক আটকে রয়েছেন আফগানিস্তানের মাটিতে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। তালিবানের সঙ্গে আলোচনাও চলছে নিয়মিত। যাঁরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসতে চান, তাঁদের সেদেশ থেকে বেরোনোর বিষয়ে তালিবান কী ভাবছে, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ ওয়াশিংটন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়লেও আমেরিকা যে আফগানদের ভুলে যায়নি, তা আজ আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ব্লিঙ্কেন। জানিয়ে রাখলেন, আমাদের জন্য এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আফগানদের সাহায্য করা। আমাদের প্রতিশ্রুতি আমরা পালন করে যাব। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান সম্পর্কে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, আন্তর্জাতিক মহল আফগানিস্তানের থেকে কী আশা করছে। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্দেশীয় অবাধ যাতায়াত, আফগানদের মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুন্ন না করা,মহিলা এবং শিশুদের অধিকার… এমন বেশ কিছু ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের গতিবিধি আতসকাঁচের তলায় রাখতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল।

যে আমেরিকানরা এখনও আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন এবং সেখান থেকে বেরোতে চান, তাঁদের সঙ্গে কাতারের দোহায় মার্কিন দূতাবাস থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এর জন্য একটি বিশেষ দলও তৈরি করা হয়েছে কাতার দূতাবাসে।

আফগানিস্তানের প্রতিটি গতিবিধির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে ওয়াশিংটন। নতুন তালিবান সরকার গঠনমূলক হবে বলে আশা করছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে যাতে শুধু তালিব নয়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব থেকে সেই কথাও আজ ওয়াশিংটন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি।

আগামিকাল ব্লিঙ্কেন কাতার এবং জার্মানি যাবেন। কাতারের দোহায় এবং জার্মানির রামস্টেনে কাতারি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করতে কাতারের শীর্ষ নেতাদের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছে আমেরিকা। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেই দোহা এবং রামস্টেন যাবেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট।

তালিবান ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, চিনই তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তালিবদের জন্য চিন অসাধারণ সব সুযোগ প্রস্তুত করেছে। আফগানিস্তান এই মুহূর্তে বিনিয়োগ এবং পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে তালিবান প্রসঙ্গে কী ভাবছে আমেরিকা? কতটা নরম হবে ওয়াশিংটন? অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, আমেরিকা এখন আফগানিস্তানের প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখছে। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্দেশীয় অবাধ যাতায়াত, আফগানদের মৌলিক অধিকার রক্ষা,মহিলা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষার বিষয়গুলিতে তালিবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আমেরিকা তালিবান সম্পর্ক আগামী দিনে কী রকম হবে। আরও পড়ুন : তালিবানকে পুষেছে ইসলামাবাদ ! দায় এড়াতে পারে না পাকিস্তান

Next Article