Bhutan’s Economic Condition : শ্রীলঙ্কার পর কি এবার ভুটান? বাড়ছে জ্বালানি-শস্যের দাম, কমছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার

Bhutan's Economic Condition : ভুটানে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার। তেল ও শস্যের দামবৃদ্ধির মাঝেই যানবাহন আমদানিতে রাশ টানছে সেদেশ।

Bhutan's Economic Condition : শ্রীলঙ্কার পর কি এবার ভুটান? বাড়ছে জ্বালানি-শস্যের দাম, কমছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার
প্রতীকী ছবি (সৌজন্যে : Pixabay)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2022 | 1:34 PM

থিম্পু : গোটা বিশ্ব দেখেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। কীভাবে অর্থনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিক পালাবদলের মোড় নিতে পারে তার সঙ্গে পরিচিত এখন বিশ্বের জনগণ। শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশেও সেরকম সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। কিছুদিন আগে সেদেশে এক লাফে অনেকটা বেড়েছিল পেট্রোলের দাম। শ্রীলঙ্কার পর সম্প্রতি বাংলাদেশে জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। তবে সেদেশ সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারলেও আপাতত একই সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে ভুটানেও। সেদেশে কমছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ। ফলে ভুটানেরও অবস্থাও শ্রীলঙ্কর মতোই হবে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

শুক্রবার রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটান সব ধরনের যানবাহন আমদানি করা নিষিদ্ধ করছে। তবে সেই বাতিলের খাতা থেকে বাদ থাকছে প্রয়োজনীয় যানবাহন, ভারী আর্থ মুভিং মেশিন, কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাক্টর। বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারকে বাঁচিয়ে রাখতেই ভুটান সরকারের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জাপানের মোট জনসংখ্যা ৮ লক্ষ। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে যখন গোটা বিশ্ব ছন্দে ফিরছে তখন কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধুঁকছে ভুটান। কোভিড পরিস্থিতির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দোরগোড়ায় চলে এসেছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার প্রভাব পড়েছে ভুটানেও। বেড়েছে তেল ও শস্যের দাম। এর পাশাপাশি গত ২ বছর ধরে কোভিড মহামারি সময়ে জ়িরো কোভিড নীতির খেসারত গুনতে হচ্ছে এই দেশকে। জ়িরো কোভিড নীতির কারণে বিদেশী পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ভুটান। তার ফলে ভুটানের পর্যটন থেকে আয়ে ঘাটতি হয়েছে। কমেছে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারও। শ্রীলঙ্কাতেও খানিকটা এরকম পরিস্থিতিই দেখা গিয়েছিল।

ভুটানের রয়্য়াল মনিটরি অথরিটির তরফে গত মাসে প্রকাশিত তথ্যে চোখ বুলোলে দেখা যাবে ২০২১ সালে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭০ মিলিয়ন ডলার। একটি বিবৃতিতে সেদেশের অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, যানবাহনের আমদানি বন্ধ করলেও ১.৫ মিলিয়ন এনগুলট্রাম মূল্যের ইউটিলিটি ভেহিকেলস এবং পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন আমদানি করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিত করার জন্য স্থগিতাদেশ কার্যকর করা হয়েছে।’ ভুটানের একটি স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, জুন অবধি ভুটান ৮ হাজার যানবাহন আমদানি করেছে। সেটাই বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।