মস্কো : ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া। তবে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে নারাজ মস্কো। বিশেষত ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা জারি থাকবে বলেই জানিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জাই লাভরোভ। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে, ইউক্রেনের এমন সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আর কখনই যাতে ইউক্রেনের রাশিয়ার কোনও বিপদের কারণ না হতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করতে চায় মস্কো।
এক রুশ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, ইউক্রেনের এমন যে কোনও সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হবে। শান্তি চুক্তির পথে হাঁটলেও রাশিয়ার এই অভিযান জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রুশ মন্ত্রীর কথায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জে়লেনস্কি যে আইন তৈরি করেছেন, তা নাৎসি আইন, যে আইনে রুশ ভাষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইউক্রেনে। তাঁর আরও দাবি, ইউক্রেন বিদেশি নাগরিকদের আটকে রেখেছে, বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। খারকিভেও অনেক ভিনদেশির মৃত্যু হয়েছে, যেখানে রুশ সেনা নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি। পুতিনের এই মন্ত্রী মনে করছেন, কিয়েভের বাহিনীই আসল হত্যাকারী।
একই সঙ্গে সার্জাই লাভরোভের দাবি, পশ্চিমি দেশগুলোই পরমাণু যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। সাক্ষাৎকারেই তিনি এই অভিযোগ করেছেন। তবে কোনও প্ররোচনা বরদাস্ত করা হবে না বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, যদি রাশিয়ার বাহিনীর হাতে ইউক্রেন চলে যায়, তবে বাল্টিক দেশগুলিই হবে পরবর্তী নিশানা। তাই তাঁর মতে, যুদ্ধ থামানোর একমাত্র উপায় পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা।
গত বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকেই ইউক্রেনের ওপরে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনা। যুদ্ধ থামাতেই গত সপ্তাহে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ, কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। বৃহস্পতিবার ফের বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেন। সেখানেও যুদ্ধ থামানো নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র না মেলেনি। তবে, সাধারণ মানুষদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনার জন্য় মানবিক করিডর তৈরিতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।