AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: লেগিংস, ছোট হাতার পোশাকে ফতোয়া! বিতর্কের মুখে পড়ে পিছু হটল বাংলাদেশ

Bangladesh: আজব ফতোয়া বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের। মহিলারা কী পরবেন সেটা ঠিক করে দেবে ব্যাঙ্ক-ই। কে কী পরে আসবে অফিসে, সেটা ঠিক করে দেওয়ার অধিকার ব্যাঙ্ককে কে দিয়েছে, প্রশ্ন সে দেশের মহিলা পরিষদের সভাপতির।

Bangladesh: লেগিংস, ছোট হাতার পোশাকে ফতোয়া! বিতর্কের মুখে পড়ে পিছু হটল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মহিলাদের জন্য ফতোয়া।Image Credit: Valeria Mongelli/Anadolu via Getty Images
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2025 | 1:58 PM
Share

ঢাকা: ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ কি ‘তালিবানিস্তান’ হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোল? এই প্রশ্নই এবার তুলতে শুরু করে দিয়েছেন সে দেশের শিক্ষিত নাগরিকরা। বিতর্কের সূত্রপাত বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের একটি সার্কুলারকে ঘিরে। সেখানে বলা হয়েছে, মহিলারা শর্ট স্লিভ বা লেন্থের ড্রেস পরতে পারবেন না। ব্যাঙ্কে পরা যাবে না লেগিংসও। যদিও এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পিছু হটেছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। ফতোয়া প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ফতোয়ায় বলা হয়েছিল, মহিলারা শর্ট স্লিভ বা লেন্থের ড্রেস পরতে পারবেন না। কেউ এই নির্দেশ না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।

এই নির্দেশিকা দেখে বাংলাদেশের নাগরিকরাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, এখন থেকে মহিলা ব্যাঙ্ক কর্মীচারীরা কী পোশাক পরবেন সেটাও ব্যাঙ্ক-ই ঠিক করে দেবে? ব্যাঙ্কের ওই নির্দেশিকায় এও বলা হবে, মহিলাদের হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে হবে ও সেই হিজাব হতে হবে সাদামাটা। বেশি ডিজাইন থাকা চলবে না। তবে হিজাব পরতে কাউকে বাধ্য করা হয়নি বলে দাবি বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের।

গত ২১ জুলাই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শুধু মহিলা নয়, পুরুষরাও কী পোশাক পরবেন সেটাও ঠিক করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুরুষদের ক্ষেত্রে জিন্স পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরতে হবে শুধুমাত্র ফরম্যাল ফুল/হাফ শার্ট ও ফরম্যাল প্যান্ট। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ-র সাফাই, ব্যাঙ্কের সব কর্মীদের মধ্যে পোশাকে সাম্য ও ঐক্য আনতেই এই নয়া নির্দেশ জারি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে শালীন পোশাক বাধ্যতামলূক। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরিফ হোসেন-কে প্রশ্ন করা হয়, ব্যাঙ্কে কি কোনও কর্মচারী এতদিন অশালীন পোশাক পরে আসতেন? তিনি অবশ্য উত্তরে না-ই বলেছেন। তাহলে পোশাক নিয়ে এই ফতোয়া কেন? সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি আরিফ হোসেন। কিন্তু তাঁর ব্যাখ্যা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করে যাঁরা ব্যাঙ্কে চাকরি করতে আসেন, তাঁদের মধ্যে এখনও ছাত্রসুলভ আচরণ ও পোশাক পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাঁদের সতর্ক করতেই এই নয়া পোশাকবিধি।

নয়া নির্দেশিকা বাংলাদেশে।

যদিও ব্যাঙ্কের এই দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কে কি কেউ অশালীন পোশাক পরে কাজে যায় নাকি? বৈষম্য দূর করতে পোশাকের প্রসঙ্গ আসছে কেন? তাঁর ইঙ্গিত, কে, কোথায় বসে এই নির্দেশ দিচ্ছেন বা কাকে সন্তুষ্ট করতে এই তালিবানি ফতোয়া, বাংলাদেশের মানুষের সেটা বুঝতে বাকি নেই। ফওজিয়া মোসলেমের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের উচিত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পেশাগত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে কি না, সেটা দেখা ও গ্রাহকদের পরিষেবা পাওয়া নিশ্চিত করা।

এই বিতর্কের মুখে পড়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সার্কুলার পরামর্শমূলক। বোরখা বা হিজাব পরতে কাউকে জোর করা হয়নি। এই সার্কুলারে অফিসে কারও পোশাক পরার অধিকার খর্ব হবে না বলেই জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক।