Jeshoreshwari temple: বাংলাদেশে সপ্তমীর দিন মায়ের মাথা থেকে চুরি মুকুট! উপহার দিয়েছিলেন মোদী

Oct 11, 2024 | 5:32 PM

Goddess Kali's crown stolen from Jeshoreshwari temple: পুজোর সপ্তমীর দিন বাংলাদেশের সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে চুরি গেল মায়ের মাথার সোনার মুকুট! কালী মায়ের মাথার এই সোনার মুকুটটি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Jeshoreshwari temple: বাংলাদেশে সপ্তমীর দিন মায়ের মাথা থেকে চুরি মুকুট! উপহার দিয়েছিলেন মোদী
২০২১ সালে বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে এই মুকুটটি উপহার দিয়েছিলেন মোদী
Image Credit source: ANI

Follow Us

ঢাকা: দুর্গাপুজোটা নির্বিঘ্নে কাটল না বাংলাদেশে। পুজোর সপ্তমীর দিন চুরি গেল মায়ের মাথার সোনার মুকুট! কালী মায়ের মাথার এই রুপোর উপর সোনার প্রলেপ দেওয়া মুকুটটি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময়ই সাতক্ষীরার শ্যামনগরে, যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে মুকুটটি উপহার দিয়েছিলেন মোদী। এই মুকুট চুরির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করে চুরি হওয়া মুকুট উদ্ধারের আহ্বান জানানো হয়েছে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে।

বাংলাদশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ চুরিটি হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ মুখোপাধ্যায়, দিনের পুজো সেরে বাড়ি চলে যাওয়ার কিছু পরই, সাফাই কর্মীরা লক্ষ্য করেন দেবীর মাথায় মুকুটটি নেই। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে চুরির ঘটনাটি ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। শ্যামনগর থানার ইন্সপেক্টর, তাইজুল ইসলাম বলেছেন, চোরকে শনাক্ত করতে আমরা মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছি।


এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং বাংলাদেশ সরকারকে এই চুরির তদন্ত করে মুকুটটি পুনরুদ্ধার করতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

কয়েক প্রজন্ম ধরে এই মন্দিরের দেখভাল করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভক্তদের কাছে চুরি যাওয়া মুকুটটির অসীম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, ভারত এবং প্রতিবেশি দেশগুলিতে যে ৫১টি শক্তিপীঠ রয়েছে, তার অন্যতম হল যশোরেশ্বরী মন্দির।

সাতক্ষীরার ঈশ্বরীপুরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে আনারি নামে এক ব্রাহ্মণ নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। পরে ত্রয়োজশ শতকে রাজা লক্ষ্মণ সেন দ্বারা এর সংস্কার করেছিলেন। শেষে, রাজা প্রতাপাদিত্য ষোড়শ শতকে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন।

Next Article