Bangladesh: এটা নাকি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান! হাতে পিস্তল নিয়ে চলছে প্রকাশ্যে জিহাদের পাঠ!
Bangladesh: বাংলাদেশের যশোরে এই মাদ্রার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকি। তাঁর দাবি, এটা আসলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
যশোর: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দু থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার দল অর্থাৎ আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের খুনের খবর আসছে প্রতিনিয়ত। আর এবার বাংলাদশ থেকে শিউরে ওঠার মতো ছবি সামনে আসছে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে দু’জন দাঁড়িয়ে আছে, হাতে বন্দুক। মাঝে একজন দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন।
আরবি ভাষায় ভাষণ চলছে, তাই কী বলছে বোঝা মুস্কিল। নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন থেকে শুরু করে আওয়াম লীগের নেতা-নেত্রীরা এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ভিডিয়ো-র সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
এটি আসলে বাংলাদেশের যশোরের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠান বলে জানা গিয়েছে। আর ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে কি প্রকাশ্যে জিহাদি পাঠ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায়কে! তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “যশোরে জিহাদের ডাক। দলে দলে জিহাদে যোগ দিন। জিহাদিস্তান থেকেই শুরু হবে খেলাফতের আন্দোলন।’
যশোরে এই মাদ্রার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকি। তাঁর দাবি, এটা আসলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তিনি জানান, এটা ১৭ ডিসেম্বরের একটি ভিডিয়ো। তাঁর দাবি, আসলে আরবি ভাষায় শিক্ষামূলক কথা বলা হচ্ছি। অশান্তি যাতে থেমে যায়, সেই পাঠই দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, হাতে ধরা বন্দুক আসলে সোলার। আসল নয়।
এদিকে, প্রাক্তন এনএসজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, এটা আসল নাকি নকল অস্ত্র, তা জানা নেই। তবে বাংলাদেশের রাস্তায় বহু মিছিলেই আসল অস্ত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে দেখতে পাচ্ছি ছবিটা। সন্ত্রাসবাদী যে রয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। সরাসরি আইসিসের পতাকা নিয়ে প্রশেসনও চলছে।” কিছু জায়গায় আমেরিকার তৈরি অস্ত্র হাতে মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা চিন্তার বিষয়।”