ঢাকা: ফের অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। আবারও হিংসা-হানাহানি। চলল গুলি। আজ রবিবার, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাঙ্ক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলি চলে। ২০১৭ সালের আগে ও পরে নিয়োগ হওয়া কর্মী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। গুরুতর আহত ১ জন।
এ দিন সকালেই অশান্তি ছড়ায় ঢাকার দিলকুশায়। সেখানে ইসলামী ব্যাঙ্ক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্য়াঙ্কের দখল কার হাতে থাকবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। চালানো হয় গুলি। এখনও অশান্তি জারি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের পুরনো কর্মীরা এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে। ২০১৭ সালের পর যে কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমনটাই দাবি জানায় তারা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২০১৭ সালের পরবর্তীতে নিয়োগ হওয়া কর্মীরা ব্য়াঙ্ক ঘেরাও করে। তাদের ব্যাঙ্কে ঢুকতে বাধা দিলেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ, পুরনো কর্মীরাই গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসলামী ব্যাঙ্কের কর্মীদের দাবি, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ হওয়া অধিকাংশ কর্মীই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার। তারা পটিয়া কর্মী হিসাবেই পরিচিত। অভিযোগ, ২০১৭ সালের পর বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছিল এই ব্য়াঙ্কে। তাদেরই চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবিতে আজকের বিক্ষোভ-আন্দোলন। সরকার পতনের পর দিনও এই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মুজিব কর্নারে ভাঙচুর করা হয়।
ব্যাঙ্কের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান বলেছেন, ২০১৭ সালের পর যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের সকলের নিয়োগ বাতিল হবে। সেই সময় যাদের অবৈধভাবে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, তাদের পুনরায় নিয়োগ করা হবে। বিগত ৭ বছরে যাদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, তাদেরও যথাযথ পদ মর্যাদা দেওয়া হবে।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর। আজ ইউজিসির প্রধানও বিদেশ থেকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।