ঢাকা: নতুন বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের উপরে অকথ্য অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর, মন্দির ভাঙচুর চলছে। খুন , নির্যাতনের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। যদিও মুখে এই অত্যাচারের কথা স্বীকার করতে নারাজ ইউনূস সরকার। তবে শাক দিয়ে তো আর বেশি দিন মাছ ঢাকা যায় না! ‘নতুন বাংলাদেশে’র মুখোশ খসে পড়ছে এবার। সংবিধান বদলাতেই উঠেপড়ে লেগেছে ইউনূস সরকার। শোনা যাচ্ছে, সংবিধান থেকে নাকি বাদ পড়তে পারে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি!
হাসিনাকে তাড়িয়ে দেশের সংস্কার করতে গদিতে বসেছিল মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সেখানে ধর্মীয় মেরুকরণ, সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে লাগাতার। এবার সেই বাংলাদেশই সংবিধান সংস্কারে নামছে। আর তাতেই সংবিধানের মূল নীতি থেকে বাদ পড়তে পারে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ। এমনটাই সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেই সুপারিশেই ধর্মনিরপেক্ষতা সহ তিনটি মূল নীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানে মূল চারটি নীতি রয়েছে, এগুলি হল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের মূল নীতি হিসাবে এই শব্দবন্ধনীগুলি যোগ করা হয়েছিল। সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তাতে এই শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। মূল নীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার পাশাপাশি সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদ এবং এর সম্পর্কিত সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
কমিশন এর বদলে পাঁচটি নীতির সুপারিশ করেছে। সেগুলি হল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। জুলাই আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই নতুন পাঁচ নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংবিধান বদলের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংসদে উচ্চ ও নিম্নকক্ষ আনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
তবে এখনই সংবিধান বদল হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। গণভোটও হতে পারে।