ঢাকা: সোজা পথে হচ্ছে না, এবার বাঁকা পথে ইসকনে তাড়ানোর চেষ্টা? ইসকনকে আর্থিক অনটনের মুখে ফেলার চেষ্টা। গ্রেফতার হওয়া সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হল। তিনি সহ মোট ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, মহম্মদ ইউনূস সরকারের “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট” ১৭ জনের আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরা সকলেই ইসকনের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন, ২০১২-র অধীনে ইসকন এবং এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনে ৩০ দিনের জন্য নিষেধাাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোনও ধরনের লেনদেন করা যাবে না। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে লেনদেনে স্থগিতাদেশের মেয়াদও বাড়াতে পারে বাংলাদেশ সরকার।
যাদের আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাস, প্রিয়তোষ দাস, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।
এদের মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত হিসাবনিকেশ, যেমন নথিভুক্ত ফর্ম, কেওয়াইসি ফর্ম, আর্থিক লেনদেনের নথি আগামী তিনদিনের মধ্যে পাঠাতে বলেছে বিএফআইইউ। কেন হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে হয়নি।
হিন্দু সাধুদের উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র।