ঢাকা: আবারও ভাসানচরের (Bhasanchar) পথে রোহিঙ্গারা। তিন দফায় আগেই কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে গিয়েছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। ফের সোমবার ২ হাজার ১০ জনকে নিয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ছাড়ল সেনার জাহাজ। গন্তব্য মূল ভূখণ্ড থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট্ট দ্বীপ। সেখানেই গড়ে উঠছে রোহিঙ্গাদের নতুন বাসা।
শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠাচ্ছে হাসিনা প্রশাসন। এই অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। কিন্তু সে দেশের সরকারের সাফ কথা, রোহিঙ্গাদের ইচ্ছেতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নতুন ওই দ্বীপে। সেখানে সুযোগ সুবিধা বেশি, তাই স্বেচ্ছায় সেখানে যাওয়ার কথাও মেনে নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে অনেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভাসানচরে রয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে অধিক সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে পেরেই সেখানে যাচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় মোট ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছিল ভাসানচরে। তারপর তৃতীয় দফায় গিয়েছেন আরও ৩,২৪২ জন। চতুর্থ দফা মিলিয়ে ভাসানচরে বাসা বাঁধলেন মোট ৬,৬৮৮ জন। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য এসেছিলেন কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা। অভিযোগ ছিল, মায়ানমারের সেনার অত্যাচারেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘সবে তো শুরু’, ইমপিচমেন্ট থেকে ফিরে ট্রাম্পের গলায়ও ‘খেলা হবে’
দু’দশক আগেও সমুদ্রের নীচে তলিয়ে ছিল ভাসানচর। আসতে আসতে পলি জমে গড়ে উঠেছে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় ৮০০ কোটিরও অধিক টাকা খরচ করে সেখানে হাসপাতাল, মসজিদ গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানেই আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়ার। সে জন্যই দফায় দফায় ভাসানচরের পথে ভেসে যাচ্ছেন কক্সবাজারের শরনার্থীরা।