‘সবে তো শুরু’, ইমপিচমেন্ট থেকে ফিরে ট্রাম্পের গলায়ও ‘খেলা হবে’

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ল ইমপিচমেন্টের পক্ষেই। তবু 'বাজিগরের' মতো 'বাজিমাত' করলেন ট্রাম্পই।

'সবে তো শুরু', ইমপিচমেন্ট থেকে ফিরে ট্রাম্পের গলায়ও 'খেলা হবে'
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Feb 14, 2021 | 6:08 PM

ওয়াশিংটন: ‘ডন কো পাকড়না মুশকিল হি নেহি নামুমকিন হ্যায়’, এরপরই পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গেলেন পর্দার অমিতাভ বচ্চন। ডন সিনেমার এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি নয়, তবে ইমপিচমেন্ট থেকে রেহাই পাওয়া ট্রাম্পকে দেখে কেউ কেউ বলছেন, তাঁর ইমপিচমেন্টও নাকি নামুমকিন। ঠিক যেন, ‘ট্রাম্প কো পাকড়না মুশকিল হি নেহি নামুমকিন হ্যায়।’

মার্কিন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার পর সারা বিশ্ব সরব হয়েছিল নিন্দায়। শুধু ডেমোক্র্যাটরাই নয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন অন্যান্য দেশের প্রধানরাও। ট্রাম্পপন্থীদের ‘হিংস্র’ হামলার জেরে চরম বেকায়দায় পড়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে ইতি টানার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হল না সেনেটের গেরোয় ঠিক আটকে গেল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট। আর তারপরে হুঙ্কার ছেড়ে ট্রাম্প বললেন, “সবে তো শুরু।” তিনি আমেরিকাকে ‘গ্রেট’ বানানোর কাজ ফের শুরু করবেন।

হাউসে রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যার ফলে হাউসে ইমপিচড হয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেনেটও একই পথেই চলল। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ল ইমপিচমেন্টের পক্ষেই। তবু ‘বাজিগরের’ মতো ‘বাজিমাত’ করলেন ট্রাম্পই। ৭ রিপাবলিকান ভোট দিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। যার ফলে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে মোট ভোট পড়েছিল ৫৭। ৪৩টি ভোট পড়েছিল বিপক্ষে। কিন্তু ট্রাম্পকে ইমপিচড করতে গেলে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগত, অর্থাৎ ৬৭টি ভোট। যার ফলে ২০১৯ সালের মতো ২০২১ সালেও ইমপিচমেন্টের মুখ থেকে ফিরে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আগে আগে দেখো হোতা হ্যায় কিয়া

রিচার্ড বার, বিল কাসিডি, সুসান কলিনস, লিসা মুরকোসকি, মিট রোমনি, বেন সেসে ও প্যাট টুমি, এই ৭ জন রিপাবলিকান ভোট দিয়েছিলেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে। কিন্তু পর্যাপ্ত ভোট না পড়ায় রেহাই পেয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরই বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকাকে মহান বানানোর জন্য আমাদের ঐতিহাসিক ও দেশপ্রেমী পদক্ষেপ সবে শুরু হয়েছে।

“ভবিষ্যতে আমার অনেক কিছু বলার আছে। আমি আমেরিকাকে মহান বানানোর ঐতিহাসিক যাত্রার দিকে অধীর আগ্রহে চেয়ে আছি।” ট্রাম্পের মুখে এই কথা কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে তা হলফ করে বলতে না পারলেও বিশেষজ্ঞরা বেশ বুঝছেন, রাজনীতির ময়দানে ফের ঘটা করে নামতে চলেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এত কিছুর পরেও যে সিংহভাগ রিপালিকান সেনেটররা ট্রাম্পের আনুগত্য ছাড়েননি, তা দেখেও কেউ কেউ বলছেন, লম্বা রেসের ঘোড়া ট্রাম্প। খেলবেন আরও অনেক দিন।