মুখ রক্ষা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের, ইমপিচমেন্ট থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প
কোনও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭টি ভোট। কিন্তু প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৭টি।
ওয়াশিংটন: সেনেটের ইমপিচমেন্ট থেকে রেহাই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনে বিরোধী শিবির। শনিবারের ভোটে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সাত রিপাবলিকানও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭টি ভোট বা দুই তৃতীয়াংশ। কিন্তু প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৭টি। তাই ইমপিচমেন্ট থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আসার মূলত তিনটি কারণ ছিল। এরমধ্যে অন্যতম গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটালে তাণ্ডবের ঘটনা। এই ঘটনায় ট্রাম্পের উস্কানির অভিযোগ ওঠে। তাঁর উস্কানিতেই মার্কিন কংগ্রেস তছনছ হয়ে যায় বলে দাবি তোলেন বিরোধীরা। কারণ, এই ঘটনার আগেই নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের বক্তব্যয় ‘হিংসা’র আহ্বান ছিল। তাঁর বক্তব্যের জেরেই ক্যাপিটালে ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালায়। এরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনা হয়।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি সাংসদের গাড়ি, ভাঙল কাঁচ, অন্য কোনও ‘অভিসন্ধি’র গন্ধ
এছাড়াও হেরে গিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার জন্য চাতুরির আশ্রয় নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে ট্রায়ালের মুখোমুখি হতে হয় ট্রাম্পকে। অবশেষে রেহাই পেলেন তিনি।
এর আগে ২০১৯ সালেও ট্রাম্পের নামে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এসেছিল। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল। সে সময় রিপাবলিকানরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ সেনেটে। তাই হাউসে পাশ হলেও সেনেটে আটকে যায় সে প্রস্তাব।