Bangladesh News: স্নাতকোত্তর পাশ করেও চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না, বড়লোক হওয়ার লক্ষ্যে প্রতারণাকেই হাতিয়ার ব্যক্তির
Bangladesh Couple: ওই দম্পতির কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পেরে মাথায় হাত পুলিশের। জানা গিয়েছে ওই দম্পত্তি ভুয়ো ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার নামে অনলাইনে দামি পণ্য অর্ডার দিত।
ঢাকা: নিজেকে গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষকর্তা পরিচয় দিয়ে অনলাইনে ক্যামেরা অর্ডার করেছিলেন এক ব্যক্তি। বিক্রেতাকে টাকা মিটিয়ে দেওয়া জন্য ব্যবসায়ীর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও নেন জাহিদ হাসান রনি নামের ওই ব্যক্তি। সময়মতো ব্যবসায়ীর ফোনে মেসেজ আসে যে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। সেই মতো রনির বাড়িতে ক্যামেরা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্মীরা খাম খুলেই দেখেন খামের ভিতর ৫৫ হাজার টাকা নেই, রয়েছে ১ হাজার টাকা। তখনই ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার (Dhaka, Bangladesh) তেজগাঁওতে এই ঘটনা ঘটেছিল। ওই ব্যবসায়ীর করা মামলার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত জাহিদ হাসান ও তাঁর স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ধানমন্ডি এলাকা থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
ওই দম্পতির কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পেরে মাথায় হাত পুলিশের। জানা গিয়েছে ওই দম্পত্তি ভুয়ো ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার নামে অনলাইনে দামি পণ্য অর্ডার দিত। এবার সেই পণ্য হাতে পাওয়ার পর অন্যত্র চড়া দামে বিক্রি করত ওই দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, ৪ বছর ধরে একের পর এক এই ধরনের জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশের ওই দম্পতি। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মহদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, জাহিদ হাসান খুলনার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন। কিন্তু দ্রুত বড়লোক হওয়ার লক্ষ্যে তিনি প্রতারণাকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
পুলিশের ওই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু অনলাইন জালিয়াতিই নয়. বিমানের টিকিট প্রতারণার সঙ্গেও তিনি জড়িত। এছাড়াও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা এবং মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রতিশ্রুতির নামে করে টাকা আদায় সহ জাহিদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জাহিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক প্রতারণার সময় তিনি নিজেকে বিভিন্ন শীর্ষকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।