Biriyani: নামজাদা দোকানের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ৪০, হাসপাতালে ১৫ কলেজ পড়ুয়া

Biriyani: এরই প্রতিবাদে রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওই দোকানের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। মানববন্ধন করে তাঁরা দাবি করেন, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

Biriyani: নামজাদা দোকানের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ৪০, হাসপাতালে ১৫ কলেজ পড়ুয়া
বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ পড়ুয়ারা। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 8:06 PM

ঢাকা: বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৪০ কলেজ পড়ুয়া। শনিবার কলেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই পাবনা শহরের নামকরা বিরিয়ানির দোকান থেকে পার্সেল নেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই বিরিয়ানি খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪০ জন পড়ুয়া। এরমধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরই রবিবার টেক্সটাইল কলেজের ছেলেমেয়েরা প্রতিবাদে পথে নামেন।

শহরের বহু পুরনো বিরিয়ানির দোকান। প্রতিদিন কয়েক শো প্লেট বিক্রি আছে দোকানে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের ভিড়ের পাশাপাশি অফিস ফেরত লোকজনের ভিড় নিয়মিত। উৎসবের মরসুম এলে তো কথাই নেই। উপচে পড়েন বিরিয়ানিপ্রেমীরা। হিমশিম খেতে হয় পাবনা শহরের ওই বিরিয়ানির দোকানের কর্মীদের। অভিযোগ, এই নামকে ঘুরিয়ে ব্যবহার করে আরও বেশ কয়েকটি বিরিয়ানির দোকান রমরমিয়ে চলছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, শনিবার কলেজে ফিস্ট ছিল। সে কারণে ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার দেওয়া হয় ওই বিরিয়ানির দোকানে। অভিযোগ, সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পর রাতেই একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৫ জনের পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরই প্রতিবাদে রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওই দোকানের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। মানববন্ধন করে তাঁরা দাবি করেন, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ঐতিহ্যবাহী নান্না বিরিয়ানির নাম ব্যবহার করে রেস্তোরাঁগুলি প্রতারণা করছে। শরীর খারাপ থাকায় রবিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া সেমেস্টার দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ তাঁদের। যদিও দোকানের ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমকে জানান, শনিবার তাঁরা প্রায় ২০০ প্যাকেট বিরিয়ানি বিক্রি করেছেন। কিন্তু কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। শিক্ষার্থীরা কীভাবে অসুস্থ হয়েছেন তা তিনি জানেন না বলেও দাবি করেন। সূত্রের খবর, পাবনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকের অফিস থেকে লোক এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনও পুলিশি অভিযোগ দায়ের হয়নি। তা দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পাবনা সদর থানার পুলিশ।