ঢাকা: দলের অন্দরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ এখন আর কোনও নতুন ঘটনা নয়। মাঝে মাঝে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের চিত্র প্রকাশ্যে আসে, সংবাদপত্র বা চ্যানেলে সেই ঘটনা প্রকাশিতও হয়। কারণ সত্যি খুঁজে বের করাটাই সংবাদমাধ্যমের কাজ। কিন্তু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উত্তম মধ্যম দাওয়াই দেওয়া হল এক সাংবাদিককে। বাংলাদেশে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আওয়ামি লিগের সভাপতি বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্ত উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগ। সেই শোভাযাত্রা চলাকালীন ছাত্রলিগের কর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক মারামারির ভিডিয়ো করছিলেন, ভিডিয়ো করতে গিয়ে এক ছাত্র নেতার রোষের মুখে পড়েছেন এক সাংবাদিক। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই সাংবাদিককে মারধর ও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সাংবাদিকের নাম শাফাত রহমান। তিনি এক অনলাইন পোর্টালে কর্মরত বলেই জানা গিয়েছে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিগৃহীত শাফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। ছাত্রলিগ নেতা তথা কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পুতুল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুতুল সাংবাদিকের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। নিগৃহীত সাংবাদিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা দেখেতে পেয়ে স্মার্ট ফোন দিয়ে তিনি তাঁর ভিডিয়ো করতে শুরু করেন, সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে। শাফাত জানিয়েছে পুতুল তাঁকে হুমকি দিয়েছিল। অন্যদিকে ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে পুতল। তাঁর দাবি, ওই সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে