গাজিপুর: বাংলাদেশের গাজিপুরে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গাজিপুরের টঙ্গিতে এই রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ৩৭ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ওই চিকিৎসককে গ্রেফাতারির পর রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল, আদালতে ওই চিকিৎসককে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসিবুল হাসান ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। গাজিপুরের টঙ্গি হোসেন মার্কেটের আল কারিম ইসলামি হাসপাতালে তিনি কর্মরত ছিলেন। নির্যাতিতা রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বেশ কয়েকদিন ধরে হৃদরোগের সমস্যার ভুগছিলেন। শনিবার অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ওই মহিলাকে ভর্তি করার পর কর্তৃপক্ষের তরফে ওই চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে ইসিজি সহ বেশ কিছু পরীক্ষার করার কথা বলেছিল। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, শনিবারই এক আত্মীয়ের সঙ্গে পরীক্ষার রিপোর্টে সঙ্গে নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় চিকিৎসক তাঁর আত্মীয়কে বাইরে বের করে চেম্বারের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। পরীক্ষা করার নামে ওই মহিলার ব্যক্তিগত অঙ্গে স্পর্শ করে এবং তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই চিকিৎসক। মহিলার চিৎকারে তাঁর আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন।
মহিলার থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উত্তেজিত জনতা চিকিৎসকে সেখানে আটকে রাখেন। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কথা জানাজানি হতে হাসাপাতালে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চিকিৎসককে গ্রেফতারের পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্ত চিকিৎসককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।