শেরপুর: মোবাইল আমাদের জীবনে রোজকার অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানো থেকে শুরু করে অবসর সময় কাটানোর জন্য মোবাইল ব্যবহারে আমরা প্রতিনিয়তই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এই মোবাইলের কারণেই বাংলাদেশের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের (Bangladesh News) বগুড়ার শেরপুরের ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূ মিম আক্তারের মৃত্যু রহস্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, সাংসারিক কলহের জন্য মিমের স্বামী তাঁকে হত্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর তদন্তে নেমে মিমের স্বামী শাকিল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরার মুখে মৃতার স্বামীও এই খুনের পিছনে তাঁর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রণবীরবালা গ্রামে কাফুড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় শাকিলের বাড়ি থেকেই মিমের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহ উদ্ধারের পর তাঁর স্বামীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে শেরপুর জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল।
খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে মৃতার বাবা দাবি করে আসছিলেন যে তাঁর মেয়ে পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে। তিনি শাকিল সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শেরপুর থানার আধিকারিক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শাকিল তাঁর স্ত্রীয়ের গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেছে। পুলিশ জেরায় অভিযুক্ত শাকিল জানিয়েছে, তাঁর স্ত্রী স্মার্টফোনে অন্যজনের সঙ্গে কথা বলত। বিষয়টি মেনে নিতে শাকিলের সমস্যা হচ্ছিল। বুধবার ভোরে বিস্তর ঝগড়ার পর মিমকে হত্যা করে তাঁর স্বামী। এই মামলায় অন্য ৩ অভিযুক্ত শাকিলের পিসি সান্ত্বনা বেগম, দিদা মর্জিনা বেগম ও কাকা সেলিম হোসেন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন TV9 Explained: ‘হিন্দি রাষ্ট্রভাষা ছিল, আছে এবং থাকবে’, অজয়ের দেবগণের এই দাবি আদৌ সত্যি?