ঢাকা: দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মোদীর সফর ঘিরে বাংলাদেশে উন্মাদনা। খোদ শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে এসে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশে গিয়েছেন নমো। সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ বোঝাতে রাস্তার চারদিকে মুজিবুরের ছবি লাগিয়েছে হাসিনা সরকার। এই সফরে নরেন্দ্র মোদী ও হাসিনার মধ্যে একাধিক মৌ স্বাক্ষতির হওয়ার কথা রয়েছে। লকডাউনের পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদীর কোনও বিদেশ সফর। সেই সফরে বাংলাদেশকে ১২ লক্ষ করোনা টিকা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ভারত।
নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে সাভারের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। স্মৃতি সৌধের অতিথি বইয়ে মোদী সই করেছেন। সেই ছবিও নেটজগতে প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটার সময় মোদাী যখন হজরৎ শাহলাল বিমানবন্দরে নামেন, তখন তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সাভারের স্মৃতিসৌধে গিয়ে একটি চারাগাছও রোপণ করেছেন মোদী। বাংলাদেশে ঠাসা কর্মসূচি নমোর। জোড়া হিন্দু মন্দিরে যাবেন তিনি। ২৭ মার্চ সকালে প্রথমে মোদীর কপ্টার নামবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে।বঙ্গবন্ধুর সমাধি দর্শনের পর সেখানে ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরীর মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। তারপর ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের মন্দিরে যাবেন মোদী। ফিরে প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
তবে মোদীর বাংলাদেশ সফরের আগেও টিকা পৌঁছেছে বাংলাদেশে। ভ্য়াকসিন মৈত্রীর মাধ্যমে এর আগে প্রতিবেশী দেশগুলিকে টিকা দিয়েছিল ভারত। সেই কর্মসূচি শুরুই হয়েছিল বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে। উল্লেখ্য ঢাকা পৌঁছে এখনও পর্যন্ত বাংলায় দু’টি টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। যেখানে প্রথম টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “ঢাকা পৌঁছলাম। বিমানবন্দরে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।” দ্বিতীয় টুইটে মোদী লেখেন, “জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। তাঁদের সংগ্রাম এবং ত্যাগ অনুপ্রেরণাদায়ী। তাঁরা ন্যায়ের পালন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”