Bangladesh: মুক্তিযোদ্ধা থেকে বিচারপতি, এবার বঙ্গভবনে; কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু?

Mohammad Sahabuddin Chuppu: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। কে তিনি? আসুন জেনে নেওয়া যাক -

Bangladesh: মুক্তিযোদ্ধা থেকে বিচারপতি, এবার বঙ্গভবনে; কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু?
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2023 | 6:59 PM

ঢাকা: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি), আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি), বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসেবে আর কোনও বৈধ মনোনয়নপত্র না জমা পড়ায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আগামী ২৩ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদের। রাষ্ট্রপতি হিসেবে মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বেশ অপরিচিত নাম। আসুন চিনে নেওয়া যাক, কে এই মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, যাঁকে নির্বাচনের বছরে রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব সামলানোর ভার দিলেন শেখ হাসিনা –

১৯৪৯ সালে বাংলাদেশের পাবনায় জন্ম হয়েছিল মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও হয়েছিলেন। এরপর, ১৯৭৪ সালে পাবনার যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাহাবুদ্দিন। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল রাজাকাররা। ওই ঘটনার পর, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অত্যাচারের মাত্রাও বেড়েছিল। সেই সময় ৩ বছর কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছিল সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে।

১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরের ২৫ বছর তিনি বিচার বিভাগে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। বিচারক হিসেবে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হিসেবে অবসর নেন তিনি। ২০০১ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি-জামাত জোট সরকার। সেই সময় সরকারি মদতে বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বেনজির হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে এই তদন্তের জন্য গঠিত কমিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বিচারক হিসেবে অবসরের পর, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন। আওয়ামি লিগের সর্বশেষ কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, সুপরিচিত নাম না হলেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এবার তাঁকে নির্বাচনের বছরে রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব সামলাতে হবে। এমনিতে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির খুব বেশি কাজের দায়িত্ব না থাকলেও, নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ভূমিকায় কতটা যথাযথ হবেন বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা, এখন সেটাই দেখার।