ময়মনসিংহ: মা সন্তানের সব থেকে বড় অবলম্বন। মা যেমন সব প্রতিকুলতা থেকে সন্তাকে রক্ষা করে, ঠিক তেমনই সন্তান অন্যায় করলে বা জীবনে চলার সময় ভুল পথ বেছে নিলে সংশোধন করে দেওয়াও মায়েরই কাজ। ফলের আশা না করে মাতৃত্বের বন্ধনে তিলে তিলে সন্তানকে বড় করে তোলে মা। তবে মাঝেমাঝে এমন ঘটনা শুনে পাওয়া যায়, যা শুনে বা দেখে হতভম্ব হয়ে বসে থাকা আর কোনও উপায় নেই। মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে অনেক সময় মাতৃত্বের সংজ্ঞাও বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা শুনে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। তবে কেউ কেউ আবার ওই মহিলার অবস্থাকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ফুলবেড়িয়াতে চার বছর বয়সী এক শিশুকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যায় সরাসরি ওই শিশুর মা’কে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পুলিশ শিশুকন্যার মা নাজমা বেগমকে আটক করেছে বলেই জানা গিয়েছে। দুপুর ১২ টা নাগাদ এই হত্যাকান্ড ঘটে। বেষশ কয়েক বছর আগে মুক্তাগাছার রমজান আলির সঙ্গে নাজমার বিয়ে হয়েছিল। তবে তাঁর স্বামী মাদক আসক্ত এমনকী তাঁর জুয়া খেলার নেশা রয়েছে। তাই কয়েক বছর পরই নাজমা নিজের শিশু কন্যাকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। স্বামীকে ছেড়ে আসার পর শোকে নাজমা ক্রমশই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ছোট্ট শিশুটি আজ বাড়ির পাশে খেলছিল। সেই সময়ই হঠাৎ করে কাঁচি নিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে যায় নাজমা। ছোট্ট মেয়েটির গলায় একের পর কাঁচির আঘাত করতে থাকে ওই মহিলা। এই নির্মম কান্ড দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছিল। স্থানীয় লোকজন নাজমাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নাজমাকে থানা নিয়ে গিয়েছিল। ফুলবেড়িয়া থানার ওসি জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ওই মহিলা আদৌ মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, সেটা যাচাই করে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।