ঢাকা: বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও এক নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। পদ্মা সেতুতে (Padma bridge) যান চলাচল শুরু হয়েছিল গত বছরের জুনে। দেড় বছরের মধ্যে এবার পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল (Train services) শুরু হতে চলেছে। আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল শুরু হবে। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন খবরটি নিশ্চিত করেছেন। পাকাপাকিভাবে রেল চলাচল শুরুর আগে আগামী বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতুতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চলবে। আগামী ১০ অক্টোবর এই রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন পদ্মা সেতুতে রেলপথের উদ্বোধনের পর একটি জনসভাও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সেই জনসভার স্থান এখনও নির্বাচিত হয়নি।
বাংলাদেশ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। এর মধ্যে আপাতত ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে। বাকি অংশের কাজ এখনও চলছে। আগামী বছর জুনের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে এবং যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশাবাদী হাসিনা সরকার। রেলকর্তারা জানান, আপাতত মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর স্টেশনে ট্রেন থামবে। শীঘ্রই মুন্সিগঞ্জের নিমতলা স্টেশনটি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যাত্রী টানতে ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চালানোর ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। তখন এটির বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। কাজ সম্পূর্ণ হতে খরচ আরও বাড়তে পারে বলে রেলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। পদ্মাসেতুতে রেলপথের আগে আগামী মাসের শেষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথেরও উদ্বোধন করা হবে বলে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন।