ঢাকা: ক্ষমতার আস্ফালন নাকি ঔদ্ধত্য? হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে নির্মম অত্যাচারে শিকার হিন্দু সহ সংখ্য়ালঘুরা। ভারত তার প্রতিবাদ করতেই, শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে বাংলাদেশি মৌলবাদী নেতারা কখনও কলকাতা, আগরতলা দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, কখনও আবার বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখলের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু ভারতের কোনও অংশ দখল করবে কি, তার আগে নিজের দেশের নাম বদলানো নিয়েই শুরু আকচা-আকচি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই পালাবদলকে বাংলাদেশিরা অনেকে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ” বলেও উল্লেখ করেছিলেন। এবার নতুন বাংলাদেশের নাম বদল করতেই উদ্যত সে দেশের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। কিন্তু তাতেও মতের মিল নেই। এক একজন একেক নাম প্রস্তাব করছেন!
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য আশরাফ আলি আকন্দ বলেন, “বাংলাদেশের নাম হবে বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্র”। এর সাপেক্ষে তাঁর, বাংলাদেশের নামে কল্যাণ থাকলে, কোনও ব্যক্তি নামটা দেখে আর অকল্যাণ করার চিন্তা করতে পারবে না।
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “এই রাষ্ট্রের নাম হবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয়। সংবিধান থেকে প্রজাতন্ত্র শব্দটি বাদ দিতে হবে।”
অর্থাৎ দুই নেতা চাইছেন বাংলাদেশের দুই নাম দিতে। ভারত দখলের চিন্তা পরে, আগে দেশের নাম বদল নিয়ে একমত হোক নেতারা। বাংলাদেশিরাও অবাক এই ধরনের মতামত নিয়ে।