তেল আভিভ: ফের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপরই আস্থা রাখল ইজরায়েল। গত মঙ্গলবার ছিল নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ভোট গণনার শেষে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছেন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যেই নেতানিয়াহুকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন ল্যাপিড। একই সঙ্গে তিনি তাঁর কার্যালয়কে ক্ষমতার একটি সংগঠিত স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে পরাজয় স্বীকার করে ল্যাপিড বলেন, “ইজরায়েল রাষ্ট্র সকল রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে। আমি ইজরায়েলের জনগণ ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বার্থে নেতানিয়াহুর সাফল্য কামনা করি।” অন্যদিকে, নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা ইজরায়েলের জনগণের বিপুল আস্থার ভোট পেয়েছি।”
ইজরায়েলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রকাশিত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ৩১টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের ইয়েশ আতিদ দল ২৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া, রিলিজিয়াস জায়নিজম পার্টি ১৪টি, ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি ১২টি, শাস দল ১১টি এবং ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম দল ৮টি আসন পেয়েছে। সব মিলিয়ে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি এবং তাদের অতি-ডানপন্থী শরিক দলগুলি ১২০ সদস্যের ইসরায়েলি সংসদে মোট ৬৪টি আসন জিতেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিতে বলা হয়েছিল নেতানিয়াহুর ডানপন্থী ব্লক ৬১-৬২টি আসন জিতবে।
নেতানিয়াহুর এই জয়ের ফলে, ইজরায়েলের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। সেই থেকে গত গত ৪ বছরে ইজরায়েলে পঞ্চমবার নির্বাচন হল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সকল ডানপন্থী দলগুলিকে এক ছাতার তলে একত্রিত করতে পারার কারণেই এই জয় পেলেন নেতানিয়াহু। সব ডানপন্থী দল এক জায়গায় হওয়ায়, ডানপন্থী ভোটও একত্রিত হয়েছে।
তবে, নেতানিয়াহুকে অতি-ডানপন্থী শরিক রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টির সমর্থনের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। এই দলের অন্যতম নেতা ইতামার বেন-গভির ইজরায়েলের প্রয়াত অতি-জাতীয়তাবাদী নেতা মীর কাহানের অনুগামী ছিলেন। মীর কাহানের সংগঠন ইজরায়েলে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলেছিল। খোদ বেন-গভিরের বিরুদ্ধেও বর্ণবিদ্বেষে উসকানি দেওয়া, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।