India’s Bunker Blaster: মার্কিন ‘মা’-র চেয়েও শক্তিশালী! ভারতের হাতে আসছে ‘মায়েরও মা’
চিন জিনজিয়াংয়ে যত গভীর গর্তই খুঁড়ুক না কেন, লাভ নেই। এদিকে পাতালে গিয়ে লুকোলেও পার পাবে না পাকিস্তান। আমেরিকার হাতে পায়ে ধরে ওরা যদি 'মা'-কে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতের হাতে থাকবে মায়েরও মা।

চিন জিনজিয়াংয়ে যত গভীর গর্তই খুঁড়ুক না কেন, লাভ নেই। এদিকে পাতালে গিয়ে লুকোলেও পার পাবে না পাকিস্তান। আমেরিকার হাতে পায়ে ধরে ওরা যদি ‘মা’-কে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতের হাতে থাকবে মায়েরও মা। হেঁয়ালির মতো শোনাচ্ছে? বিষয়টা তাহলে খোলসা করা যাক। GBU-57. Guided Bomb Unit-এর লেটেস্ট সিরিজ। পোশাকি নাম, Massive Ordnance Penetrator. মার্কিন সেনা আদর করে ডাকে mother of all bombs. বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই অ-পারমাণবিক বোমার ব্যবহার মাত্র কিছুদিন আগেই হয়েছে ইরানে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহান পরমাণু কেন্দ্রগুলো মাটির বহু নীচে। ইজরায়েলের হাতে এমন কোনও বোমা ছিল না যা কিনা মাটির এত গভীরে সেঁধিয়ে থাকা কোনও পরিকাঠামো ধ্বংস করতে পারে। তাই, ত্রাতা হিসাবে ট্রাম্প সাহেবের উদয়। তাঁর নির্দেশে মার্কিন বায়ুসেনা বি-২ বম্বারে চাপিয়ে বাঙ্কার বাস্টার বম্ব ফেলে আসে ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে। বোমার বিশাল ওজন। প্লেন থেকে ফেলার পর সে শব্দের সমান গতিবেগে মাটির দিকে ধেয়ে আসে। প্রবল ভরবেগের কারণে এই বোমা মাটি ফুঁড়ে অনেক ভিতরে ঢুকে যায়। তারপরেই শক্তিশালী বিস্ফোরণ। সহজভাবে বলতে গেলে মার্কিন বাঙ্কার বাস্টার এভাবেই কাজ করে। এক দেশের যুদ্ধ দেখেই অন্য দেশের সেনা শেখে। এটা বরাবরই হয়ে এসেছে। ভারতের সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরাও মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে নজর রেখে চলেছেন। সেই সূত্রেই মিলেছে এই ‘বিস্ফোরক’ খবর।
ভারতও বানাতে চলেছে বাঙ্কার বাস্টার। ইতিমধ্যেই ডিআরডিও প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। ভারতের বাঙ্কার বাস্টার আমেরিকার বোমার তুলনায় হবে অনেক আলাদা। এবং মার্কিন বোমার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ডিআরডিও সূত্রে খবর, আমেরিকা বিমান থেকে mother of all bombs ফেলে। ভারতের বোমা টার্গেটে আঘাত করবে মিসাইলে চড়ে। এজন্য অগ্নি-ফাইভের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বানাচ্ছে ডিআরডিও। সাধারণভাবে অগ্নি-৫ হল, ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল যা পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাল্লা হবে আড়াই হাজার কিলোমিটার। তাতে থাকবে সাড়ে সাত হাজার কেজির কনভেনশনাল ওয়ারহেড। ভারতের নিজস্ব বাঙ্কার বাস্টার বম্ব। অগ্নি সিরিজের নয়া মিসাইলের গতি হবে শব্দের চেয়ে ৮ থেকে ২০ গুণ বেশি। হাইপারসনিক মিসাইলে চড়ে অবিশ্বাস্য গতি নিয়ে টার্গেটে আছড়ে পড়বে বোমা। পাতালে ঘটিয়ে দেবে প্রলয়। কেন বলা হচ্ছে ভারতের এই বোমা হবে মার্কিন বোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী? টার্গেটে হিট করার সময় আমেরিকার GBU-57-এর গতি থাকে শব্দের সমান। ডিআরডিও-র মিসাইল হিট করবে শব্দের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ গতিতে। GBU-57-এ থাকে আড়াই হাজার কেজির বিস্ফোরক। অগ্নি সিরিজের এই নতুন মিসাইলের মাথায় থাকবে সাড়ে সাত হাজার কেজির বিস্ফোরক। ফলে, মাটি ফাটিয়ে ভিতরে ঢোকার সময় ভারতের বোমার ভরবেগ থাকবে মার্কিন বোমার চেয়ে বহুগুণ বেশি। আর সেজন্যই GBU-57 যেখানে মাটির ৬০ মিটার নীচে গিয়ে আঘাত করতে পারে সেখানে ভারতের বোমা মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে আঘাত করতে পারবে। বিস্ফোরণের তীব্রতাও হবে তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
মিসাইল থেকে ছোঁড়া হবে বলে ভারতের বাঙ্কার বাস্টার বম্ব হবে প্রিশিসন অ্যাটাকে সেরা। নিশানায় ১০০ শতাংশ নিখুঁত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লেন থেকে বোমা ফেলার তুলনায় মিসাইল ছোঁড়া বেশি সুবিধার। তাই, আমেরিকাও বি-২ বম্বারের বিকল্পের কথা ভাবছে। সেখানে আমাদের ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকল্পনা তৈরি করছেন। ঘটনা হল, শুধু মিসাইল নিয়েই তাঁদের হাতে এখন এত কাজ জমে যে দম ফেলার ফুসরত নেই।
