AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ritwik Ghatak: চলছে ‘হাত-সাফাই’, ইউনূসের বাংলাদেশে নিরাপদ নয় ঋত্বিক ঘটকের বাড়িও?

Ritwik Ghatak House in Bangladesh: ২০২০ সালে আবার জেলা প্রশাসন বাড়ি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু দিনশেষে তাও বাস্তবায়িত হয়নি। জমি বিবাদের প্রকোপে পড়েছে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি। সম্প্রতি, ওই বাড়ি ভাঙার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গণঅভ্য়ুত্থানের সময় বাড়ি ভাঙা নিয়ে কোনও ফলপ্রসূ রিপোর্ট সেই কমিটি জমা দিতে পারেনি বলেই খবর।

Ritwik Ghatak: চলছে 'হাত-সাফাই', ইউনূসের বাংলাদেশে নিরাপদ নয় ঋত্বিক ঘটকের বাড়িও?
বাঁদিকে মুহাম্মদ ইউনূস, ডানদিকে ঋত্বিক ঘটকImage Credit: PTI
| Updated on: Dec 18, 2025 | 2:06 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশে স্থিতু ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে সরানো হচ্ছে ইট, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পড়শি দেশের রাজশাহীর সংস্কৃতিকর্মীদের। বিজয় দিবসের দিনেই একাংশ ট্রাক্টরে করে ইট সরিয়ে নিয়ে সড়ক মেরামত ও পুকুর ভরাট করছে বলেই অভিযোগ একাংশের সংস্কৃতিকর্মীদের। যার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে ইউনূস প্রশাসন। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভাঙার নির্দেশ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের পর এবার নজরে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি।

সীমান্ত ঘেঁষা শহর রাজশাহীর মিঞাপাড়ায় অবস্থিত ঋত্বিক ঘটকের এই পৈতৃক বাড়ি। গতবছর গণঅভ্যুত্থানের সময় দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলে এই বাড়িতে। ভেঙে ফেলা হয় গোটা বাড়িটি। সেই সময় এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বেশি কিছু প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ির কী যোগ? কেউ কেউ বলছেন, একদিকে চরমপন্থী মনোভাব, অন্যদিকে জমি নিয়ে বিবাদ।

১৯৮৯ সালে পড়শি দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ সরকার বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি ওই মেডিক্যাল কলেজকে দিয়ে দেয়। এরপর ২০১৯ সালে বাড়ির একাংশ ভেঙে সেখানে সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের চেষ্টা দেশজুড়ে তৈরি হয় উত্তাল পরিস্থিতি। ২০২০ সালে আবার জেলা প্রশাসন বাড়ি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু দিনশেষে তাও বাস্তবায়িত হয়নি। জমি বিবাদের প্রকোপে পড়েছে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি। সম্প্রতি, ওই বাড়ি ভাঙার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গণঅভ্য়ুত্থানের সময় বাড়ি ভাঙা নিয়ে কোনও ফলপ্রসূ রিপোর্ট সেই কমিটি জমা দিতে পারেনি বলেই খবর।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার অর্থাৎ বিজয় দিবসের দিন বিকালে ইট সরানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজশাহীর সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, একদল শ্রমিক কোদাল ও বেলচা নিয়ে ইট-বালু রাস্তা থেকে তুলে ওপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ধ্বংসাবশেষকে রক্ষার জন্য একটি টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেদিন বিকালে একটি ট্রাক্টর সেই বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ে। তারপর স্তূপ থেকে সরাসরি ট্রাক্টরে ইট তুলে দেওয়া হয়।

এরপর প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হন ওই সংস্কৃতিকর্মীরা। কেন সেই ইট সরানো হচ্ছে, প্রশ্ন করতেই তাঁদের জানানো হয় এলাকা পরিষ্কারের জন্য ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা বিরোধিতা করায় আপাতত সেই কাজ বন্ধ হয়। এরপর শুরু হয় ইটের তল্লাশি। বৃহস্পতিবার অবশেষে খোঁজ মিলেছে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ইট। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গিয়েছে ইটগুলি। সেখানে একটি ডোবার ধারে ইটগুলিকে রাখা হয়েছে বলে দাবি এক সংস্কৃতিকর্মীর।