SIR in Bengal: জোর করে বাবা বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিএলও
Nadia: বনগাঁ লোকসভার হরিণঘাটা বিধানসভার কাসটোডাঙ্গার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোমরা পাড়ায় থাকনে কৃষ্ণপদ সরকার। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান। কিন্তু এসআইআরের ফর্ম নেওয়ার সময় দেখা যায় তাঁরা পরিবারে তিন সদস্য হলেও চার সদস্যের ফর্ম রয়েছে।

নদিয়া: খসড়া তালিকা সামনে আসতেই তা নিয়ে চাপানউতোরের অন্ত নেই। নানা প্রান্ত থেকে আসছে লাগাতার অভিযোগ। এরইমধ্যে নদিয়ার হরিণঘাটায় গুরুতর আপত্তি উঠল বিএলও-র বিরুদ্ধে। জোর করে বাবা বানিয়ে বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে শোরগোল। ভোটারের আপত্তির পরেও ভুল নাম আপডেট করার অভিযোগ। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরেও দেখা গেল সেখানে রয়ে গেল একই ভুল। এখন প্রশ্ন করতেই বিএলও পাল্টা যুক্তি তো দিচ্ছেন। উদ্বেগে পরিবার।
বনগাঁ লোকসভার হরিণঘাটা বিধানসভার কাসটোডাঙ্গার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোমরা পাড়ায় থাকনে কৃষ্ণপদ সরকার। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান। কিন্তু এসআইআরের ফর্ম নেওয়ার সময় দেখা যায় তাঁরা পরিবারে তিন সদস্য হলেও চার সদস্যের ফর্ম রয়েছে। এই এলাকাতেই থাকেন বিজয় সরকার নামে আর এক ব্যক্তি। তাঁর বাবার জায়গায় নাম কৃষ্ণপদ সরকারের। কিন্তু আদতে কৃষ্ণপদের ছেলে প্রেমাশিস সরকার। কিন্তু নতুন ভোটার তালিকা বলছে তাঁর দুই ছেলে। তাতেই দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার।
এ নিয়ে এলাকার বিএলও নিরঞ্জন সরকার বলছেন, সমস্যা থাকলে হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে। তখনই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যদিও ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। রানাঘাট জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি মুকুটমণি অধিকারীর দাবি, বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এসব ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলছেন, “অপরিকল্পিতভাবে এসআইআর হচ্ছে। হাজার হাজার যোগ্য ভোটার বাদ চলে যাচ্ছে। জীবিত ব্যক্তিরা মৃত হচ্ছে, বিভিন্ন পরিবারে অন্য নাম জুড়ে যাচ্ছে। বিএলও-দের এই ভুলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানাই।”
