Investment Rules: বিনিয়োগ তো করছেন, তার আগে পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে কী ভেবেছেন?
Insurance Before Investment: আপনি কোনও চাকরি বা ব্যবসা করেন। কিন্তু কোনও কারণে আপনার উপার্জন যদি হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কী হবে? বা আপনাকে যদি হঠাৎই কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাহলে কী হবে? কীভাবে চলবে আপনার পরিবারের? কী ভাবে দিন কাটবে তাঁদের, যাঁরা আপনার উপর নির্ভরশীল?

বিনিয়োগ করেন আপনি? তথ্য বলছে গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। বিনিয়োগ, অর্থাৎ শুধুমাত্র রেকারিং ডিপোজিট বা ফিক্সড ডিপোজিট নয়। স্টক, বন্ড, ডেট, ইক্যুইটি, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ শুরু করেছেন অনেক মানুষ। কিন্তু বিনিয়োগ আর টাকার বাড়ার খেলায় আসল বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সেটা কী? সেটা হল সবার আগে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার কথা ভাবা।
আপনি কোনও চাকরি বা ব্যবসা করেন। কিন্তু কোনও কারণে আপনার উপার্জন যদি হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কী হবে? বা আপনাকে যদি হঠাৎই কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাহলে কী হবে? কীভাবে চলবে আপনার পরিবারের? কী ভাবে দিন কাটবে তাঁদের, যাঁরা আপনার উপর নির্ভরশীল?
বাস্তব আসলে অনেক রূঢ়। আর এই রূঢ় বাস্তবে যে কোনও সাধারণ অসুখেই খরচ হয় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আর সেই বিল মেটাতে গেলে নাভিশ্বাস উঠতে পারে যে কোনও সাধারণ মানুষের। ফলে, যে কোনও সাধারণ পরিবারের সকলের জন্যই একটা দারুণ মেডিক্লেম বা স্বাস্থ্য বিমা থাকা প্রয়োজন। আর সেই ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে কোনও সমস্যায় পড়লে খরচ বহনের দায়িত্ব থাকবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থারই।
এমন একটা কথা বলা হয়ে থাকে আমাদের দেশের মেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারই দেউলিয়া হওয়ার থেকে একটা মেশিক্যাল এমার্জেন্সি দূরে রয়েছে। অর্থাৎ, কোনও পরিবারে একটা মেডিক্যাল এমার্জেন্সি হলেই সেই পরিবার দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই একটা মেডিক্লেম থাকা খুবই জরুরি।
এবার রইল আপনার কোনও কারণে উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন? তাই আপনার যা মাসিক খরচ সেই হিসাবে অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছরের খরচ আপনি রাখুন ক্যাশ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বা লিক্যুইড ফান্ডে। আর সব শেষে আপনার বার্ষিক উপার্জনের অন্তত ২০ গুণ আপনি রাখুন একটা টার্ম ইন্সিওরেন্সে। আর তারপর শুরু করেন বিনিয়োগ। তাহলে অন্তত হঠাৎ কোনও ঝড়ের মুখে পড়লে টালমাটাল হতে হবে না আপনাকে।
