Buddhist Temple: তক্ষশীলার চেয়েও প্রাচীন বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেল পাকিস্তানে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Dec 24, 2021 | 7:56 PM

Buddhist Temple: ইতিহাস অনুযায়ী গ্রিকরা আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকার বাজিরা এলাকা পর্যন্ত এসেছিল। এই শহরটি নিজেদের দূর্গ হিসেবেও গড়ে তোলে তারা। এখানেই গ্রিকরা সম্রাট অশোকের তৈরি এই মন্দিরটির কাঠামো খুঁজে পায়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন রাজা মেনান্দার খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি এই মন্দিরটিকে আয়তনে বাড়ান।

Buddhist Temple: তক্ষশীলার চেয়েও প্রাচীন বৌদ্ধমন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেল পাকিস্তানে!
ফাইল চিত্র

Follow Us

পাকিস্তান: সারা বিশ্বেই ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের নানা কাণ্ডকারখানা সময়ে সময়ে সামনে উঠে এসেছে। আফগানিস্তানে তালিবান উত্থান তো এর সাম্প্রতিকতম নিদর্শন। ভারতের একাংশের মানুষের মধ্যেও এই ধর্মীয় উগ্রতা লক্ষ্য করা যায়। সারা বিশ্বেই বর্তমানে ধর্মী উগ্রতার কর্তৃত্ব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই প্রাচীন যুগে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নিদর্শন পাওয়া গেল পাকিস্তানে। সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের সোয়াট উপত্যকায় একদন প্রত্নতত্ত্ববিদ আবিষ্কার করলের সবচেয়ে প্রাচীন এক বৌদ্ধমন্দির।

পাকিস্তান এবং ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদের একটি যৌথ দল এই বৌদ্ধমন্দিরটি আবিষ্কার করেছে। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের এই মিলিত দলটি শুধু ওই বৌদ্ধমন্দিরই নয়, বরং একটি প্রাচীন রাস্তাও আবিষ্কার করেছে। পাশাপাশি আবিষ্কৃত হয়েছে ওই শহরে অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বারও আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদ দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক লুকা এম অলিভেরি (Luca M. Olivieri)। তিনি জানিয়েছেন, খননকার্যে উদ্ধার হওয়া এই বৌদ্ধ মন্দিরের স্থাপত্য মৌর্য যুগের। তাঁর মতে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে।

ইতিহাস অনুযায়ী গ্রিকরা আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকার বাজিরা এলাকা পর্যন্ত এসেছিল। এই শহরটি নিজেদের দূর্গ হিসেবেও গড়ে তোলে তারা। এখানেই গ্রিকরা সম্রাট অশোকের তৈরি এই মন্দিরটির কাঠামো খুঁজে পায়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন রাজা মেনান্দার খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি এই মন্দিরটিকে আয়তনে বাড়ান। এই শহরটি চতুর্থ শতকে ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস হয়ে যায়, তখনই এই মন্দিরটিও মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়।

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রত্নতাত্ত্বিক দলটিকে নেতৃত্ব দেওযা অধ্যাপক আবদুল সামাদ জানিয়েছেন, এই আবিষ্কার নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। এই আবিষ্কার অতীতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পরধর্মসহিষ্ণুতা এবং বিবিধ সংস্কৃতির একসঙ্গে বিকাশের দিকটি তুলে ধরেছে।

অন্যদিকে অধ্যাপক লুকা আরও বলেছেন, এই আবিষ্কার বিস্ময়কর। এর ফলে গান্ধার প্রদেশের বুদ্ধের অবয়বের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। তক্ষশীলাতেই মাত্র একটিই এই ধরণের মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এই আবিষ্কার সবদিক থেকেই বৈপ্লবিক, কারণ এটা প্রমাণ করে যে সোয়াট উপত্যকায় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে বৌদ্ধদের উপস্থিতি ছিল।

আরও পড়ুন: Winter Drinks: রাম কিংবা ব্র্যান্ডি নয়, শীত উপভোগ করতে চুমুক দিন এই বিশেষ পানীয়তে!

Next Article