কিয়েভ: ৭০ দিন পার হয়ে গিয়েছে, তবে যুদ্ধ থামার নাম নেই। রাশিয়ার লাগাতার হামলায় ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পাশে দাঁড়াল কানাডা। রবিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিস ট্রুডো (Justin Trudeau) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি(Volodymyr Zelenskyy)-র সঙ্গে দেখা করেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশে দাঁড়িয়েই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধ’র জন্য দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, “এখানে যে ঘূণ্য যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে, তার জন্য দায়ী ভ্লাদিমির পুতিন।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার পর কানাডৈর প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “এই অপরাধের হিসাব রাখা হচ্ছে। এর কঠিন মূল্য চোকাতে হবে।” রবিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে ট্রুডো শহরের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন। কিয়েভের পার্শ্ববর্তী শহর ইরপিনেও গিয়েছিলেন তিনি। মার্চ মাসে ইউক্রেনীয় সেনা এই শহরের দখল রুশ সেনার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তার আগেই রুশ সেনার ক্রমাগত হামলায় গোটা শহরই যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তাও ঘুরে দেখেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী, এমনই জানিয়েছেন ইরপিনের মেয়র।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রুডো বলেন, “আমি স্বচক্ষে রাশিয়ার বেআইনি যুদ্ধের নৃশংসতা দেখেছি। এটা যুদ্ধাপরাধ। এর জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।”
ইরপিনের মেয়র ওলেকজান্ডার মার্কুসান সোশ্যাল মিডিয়ায় কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “রাশিয়ান দখলকারীরা আমাদের শহরের যে ভয়ঙ্কর অবস্থা করেছে, তার বীভৎসতা স্বচক্ষে দেখতে এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।”
শুধু কানাডার প্রধানমন্ত্রীই নন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও ইউক্রেনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁর ইউক্রেনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও, অঘোষিত সফরে ইউক্রেনে উপস্থিত হন তিনি। এর আগে সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাসও ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ইরপিন, বুচার মতো শহরগুলি ঘুরে দেখেন, যেখানে রুশ সেনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধানের সফর চলাকালীনও কিয়েভে মিসাইল হামলা চালায় রুশ বাহিনী।