China Covid Vaccine: মুখে টান দিলেই হবে করোনার টিকাকরণ, বিশ্বে প্রথম চালু করল ‘আঁতুড়ঘর’ চিন

China Covid Vaccine: চিনের সাংহাই শহরে সেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বুধবার থেকে সেই অভিনব টিকা দেওয়া হচ্ছে।

China Covid Vaccine: মুখে টান দিলেই হবে করোনার টিকাকরণ, বিশ্বে প্রথম চালু করল 'আঁতুড়ঘর' চিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2022 | 12:11 AM

চিন : করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পিছনে ভ্যাকসিনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন দেশ যে সব টিকা আবিষ্কার করে বাজারে এনেছে, তার বেশিরভাগই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। শরীরে প্রবেশ করে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ওই ভ্যাকসিন। সূঁচ ফোটানোর ভয়ে অনেকে টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন, এমন কথাও শোনা গিয়েছে। এবার সেই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনল চিন। ইঞ্জেকশন নয়, মুখ দিয়ে জোরে টান দিলেই শরীরে প্রবেশ করে কাজ শুরু করে দেবে নতুন ভ্যাকসিন। বিশ্বে প্রথম চিন এমন একটি ভ্যাকসিন বাজারে এনেছে।

চিনের সাংহাই শহরে সেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বুধবার থেকে সেই অভিনব টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এটি মূল ভ্যাকসিন নয়, বুস্টার ডোজ় হিসেবে আপাতত এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত বিনামূল্যেই শহরের বাসিন্দাদের দেওয়া হচ্ছে এটি।

চিনে ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে প্রশাসন চাইছে যত বেশি সম্ভব মানুষ এই টিকা গ্রহণ করুন। তবেই সব ধরনের করোনা বিধি তুলে নিতে পারবে প্রশাসন। অর্থনীতিও ত্বরাণ্বিত হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই শহরের প্রশাসনের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা কাপে সেই টিকা ভরে মুখের সামনে নিয়ে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে টান দিচ্ছেন। তারপর ৫ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই সম্পূর্ণ হচ্ছে টিকাকরণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ দিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পৌঁছনোর আগেই পরাস্ত হবে করোনা ভাইরাস। তবে সেটা ড্রপলেটের আকারের ওপর নির্ভর করছে। বড় আকারের ড্রপলেট হলে মুখেই আটকে যাবে। তবে ছোট আকারের ড্রপলেট হলে, সেটা গলা দিয়ে নেমে শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে।

চিনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকস এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। গত সেপ্টেম্বরেই অনুমোদন দিয়েছে চিনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এবার সেই টিকাকরণ শুরু হয়েছে। চিন, হাঙ্গারি, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াস সম্পূর্ণ হয়েছে।