বেজিং: আইসক্রিম। নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল চলে আসে। আবার, ফ্রিজের বাইরে বেশিক্ষণ রেখে দিলেই এই খাদ্য গলে জল হয়ে যায়। কিন্তু, সাধারণ আবহাওয়াতে তো নয়ই, এমনকি, আগুনের সংস্পর্শে এলেও গলছে না আইসক্রিম! তার পরিবর্তে আগুন ধরে যাচ্ছে আইসক্রিমটিতে! এ আবার কেমন আইসক্রিম? অথচ, তার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৮০০ টাকারও বেশি। হইচই পড়ে গিয়েছে চিনে। আইসক্রিমটি তৈরি করেছে চিনের একটি বিলাসবহুল আইসক্রিম ব্র্যান্ড। উচ্চ তাপমাত্রাতেও তাদের আইসক্রিম গলে যাওয়ার বদলে, আগুন জ্বলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে তীব্র উদ্বেগ। কী আছে এই আইসক্রিমে? এই প্রশ্ন করছেন চিনা নাগরিকরা। পদক্ষেপ করা শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষও।
এই অদ্ভুত আইসক্রিমটি তৈরি করেছে চিনের জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘চাইসক্রিম’। তাদের তৈরি আইসক্রিমগুলির দাম শুরু হয় ২৩৬ টাকা থেকে। সবচেয়ে দামী পণ্যটির বিনিময় মূল্য ৮২৭ টাকা! এত দামী আইসক্রিমেই অত্যন্ত বিপজ্জনক কোনও পদার্থ মেশানো হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কারণে, সেটি উচ্চ তাপমাত্রাতেও গলছে না।
চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে জনৈক গ্রাহক ‘চাইসক্রিম’ সংস্থার তৈরি একটি আইসক্রিমের গায়ে একটি লাইটারের শিখার ঠেকিয়ে পরীক্ষা করছেন। ভিডিয়োটিতে তিনি জানান, পণ্যটির পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, তা গলছে না। আরেক চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রায় আধ ঘন্টা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ‘চাইসক্রিম’ ব্র্যান্ডের একটি আইসক্রিম রেখে দেওয়ার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন। দেখা যাচ্ছে, আইসক্রিমটি গলেছে। তবে, সাধারণ আইসক্রিম যেমন গলে তরলে হয়ে যায়, এই ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। বরং পণ্যটি আঠালো হয়ে গিয়েছে।
‘চাইসক্রিম’ ব্র্যান্ডের মালিক ‘ঝং জু গাও’ নামে এক চিনা খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সংস্থার দাবি, তাঁদের পণ্যে কোনও ত্রুটি নেই। সমস্ত পণ্যই চিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-তে, ‘ঝং জু গাও’ সংস্থা তাদের আইসক্রিমের উপাদান প্রকাশ করেছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে যে আইসক্রিম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ছিল বেসল্ট নারকেল ফ্লেভাব়ের। ওয়েইবো-তে করা এক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, “বেসল্ট নারকেল ফ্লেভারের আইসক্রিমের প্রধান উপাদানগুলি হল দুধ, ক্রিম, নারকেলের শাস, কনডেন্সড মিল্ক এবং মিল্ক পাউডার।’ আইসক্রিমটি না গলে আগুন ধরে যাওয়ার ব্যাখ্যা হিসেবে, তারা বলেছে আইসক্রিমটির চল্লিশ শতাংশ উপাদানই শক্ত উপাদান, যা গলে না।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্য এই ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি। চিনের সাংহাই মার্কেট সুপারভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা ভিডিয়োগুলি দেখেছেন। এই বিষয়ে ব্যুরো তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘পেশাদার পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল আরও বেশি প্রামাণিক হওয়া উচিত। আমাদের খালি চোখে, আইসক্রিম গলেনি। বৈজ্ঞানিক তথ্য পেলে এই বিষয়টি বোঝা যাবে।’
বেজিং: আইসক্রিম। নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল চলে আসে। আবার, ফ্রিজের বাইরে বেশিক্ষণ রেখে দিলেই এই খাদ্য গলে জল হয়ে যায়। কিন্তু, সাধারণ আবহাওয়াতে তো নয়ই, এমনকি, আগুনের সংস্পর্শে এলেও গলছে না আইসক্রিম! তার পরিবর্তে আগুন ধরে যাচ্ছে আইসক্রিমটিতে! এ আবার কেমন আইসক্রিম? অথচ, তার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৮০০ টাকারও বেশি। হইচই পড়ে গিয়েছে চিনে। আইসক্রিমটি তৈরি করেছে চিনের একটি বিলাসবহুল আইসক্রিম ব্র্যান্ড। উচ্চ তাপমাত্রাতেও তাদের আইসক্রিম গলে যাওয়ার বদলে, আগুন জ্বলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে তীব্র উদ্বেগ। কী আছে এই আইসক্রিমে? এই প্রশ্ন করছেন চিনা নাগরিকরা। পদক্ষেপ করা শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষও।
এই অদ্ভুত আইসক্রিমটি তৈরি করেছে চিনের জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘চাইসক্রিম’। তাদের তৈরি আইসক্রিমগুলির দাম শুরু হয় ২৩৬ টাকা থেকে। সবচেয়ে দামী পণ্যটির বিনিময় মূল্য ৮২৭ টাকা! এত দামী আইসক্রিমেই অত্যন্ত বিপজ্জনক কোনও পদার্থ মেশানো হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কারণে, সেটি উচ্চ তাপমাত্রাতেও গলছে না।
চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে জনৈক গ্রাহক ‘চাইসক্রিম’ সংস্থার তৈরি একটি আইসক্রিমের গায়ে একটি লাইটারের শিখার ঠেকিয়ে পরীক্ষা করছেন। ভিডিয়োটিতে তিনি জানান, পণ্যটির পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, তা গলছে না। আরেক চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রায় আধ ঘন্টা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ‘চাইসক্রিম’ ব্র্যান্ডের একটি আইসক্রিম রেখে দেওয়ার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন। দেখা যাচ্ছে, আইসক্রিমটি গলেছে। তবে, সাধারণ আইসক্রিম যেমন গলে তরলে হয়ে যায়, এই ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। বরং পণ্যটি আঠালো হয়ে গিয়েছে।
‘চাইসক্রিম’ ব্র্যান্ডের মালিক ‘ঝং জু গাও’ নামে এক চিনা খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সংস্থার দাবি, তাঁদের পণ্যে কোনও ত্রুটি নেই। সমস্ত পণ্যই চিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবো-তে, ‘ঝং জু গাও’ সংস্থা তাদের আইসক্রিমের উপাদান প্রকাশ করেছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে যে আইসক্রিম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ছিল বেসল্ট নারকেল ফ্লেভাব়ের। ওয়েইবো-তে করা এক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, “বেসল্ট নারকেল ফ্লেভারের আইসক্রিমের প্রধান উপাদানগুলি হল দুধ, ক্রিম, নারকেলের শাস, কনডেন্সড মিল্ক এবং মিল্ক পাউডার।’ আইসক্রিমটি না গলে আগুন ধরে যাওয়ার ব্যাখ্যা হিসেবে, তারা বলেছে আইসক্রিমটির চল্লিশ শতাংশ উপাদানই শক্ত উপাদান, যা গলে না।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্য এই ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি। চিনের সাংহাই মার্কেট সুপারভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা ভিডিয়োগুলি দেখেছেন। এই বিষয়ে ব্যুরো তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘পেশাদার পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল আরও বেশি প্রামাণিক হওয়া উচিত। আমাদের খালি চোখে, আইসক্রিম গলেনি। বৈজ্ঞানিক তথ্য পেলে এই বিষয়টি বোঝা যাবে।’