Clash in Bangladesh: এবার বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় উত্তেজনা, সংঘর্ষে মৃত ৪, কড়া বার্তা ইউনুসের

Rajib Khan | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 21, 2024 | 5:20 AM

Clash in Bangladesh: বাংলাদেশের পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ শুরু করেছে। খাগড়াছড়িতেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

Clash in Bangladesh: এবার বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় উত্তেজনা, সংঘর্ষে মৃত ৪, কড়া বার্তা ইউনুসের
সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা

Follow Us

ঢাকা: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এবার হিংসা ছড়াল বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় চলছে অগ্নিসংযোগ। পার্বত্য এলাকার তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে ইউনুস সরকার। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস।

বুধবার খাগড়াছড়ি জেলায় একজনকে পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদিন দিঘিনালা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার এই হিংসা পাশের জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক। সংঘর্ষের সময় দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রশাসন বলছে, হঠাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে দুই পক্ষের সংঘাতের গুজবে খাগড়াছড়ির দিঘিনালা সদরের থানা বাজার ও বোয়ালখালি বাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৪টার দিকে এক পক্ষ মিছিল বের করলে অন্য পক্ষ বাধা দেয়। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও একটি মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ।

এই খবরটিও পড়ুন

সন্ধ্যার পর থেকে দিঘিনালা, পানছড়িসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তা অবরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদরের কয়েকটি এলাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে পরপর গুলির শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জনের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার রাঙামাটি শহরে এক পক্ষের একটি মিছিলে ইটপাটকেল ছোড়ার অভিযোগ তুলে বেশ কিছু দোকানে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাস, ট্রাক, ট্যাক্সিতেও হামলা হয়। শহরের দুদিকে অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এই সংঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার জানান, সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া একজন মারা গেছেন। তবে তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ শুরু করেছে। খাগড়াছড়িতেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশে ৩ পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানান তিনি। ইউনুস বলেন, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, একটি তদন্ত কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি দল পার্বত্য এলাকায় যাবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

Next Article